বিশেষ ধরনের উল্কি এঁকে দেয়া অবশ্যই বাংলাদশী কালচার নয়; মুসলিম কালচারও নয়।

এই প্রতিনিধি উল্কি সংস্কৃতির উৎকট প্রকাশ দেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশে। সেখানে শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ এবং হিসপ্যানিক নির্বিশেষে যুবক-যুবতী এবং মধ্য যৌবনাদের মৃণাল বাহু, পেলব, পোল এমনকি বক্ষ প্রদেশের বিরাট উন্মোচিত স্থানে কালো, খয়েরী এবং শ্যাওলা রঙের উদ্ভট উল্কি অঙ্কিত দেখেছে।
বলাবাহুল্য, এগুলো আদিম জৈব তাড়নার প্রতি পরোক্ষ আহবান। বিশালদেহী পুরুষরা যেমন তাদের পেশীবহুল প্রতঙ্গে উল্কি একে নারীদেরকে প্রলুব্ধ করে, তেমনি নারীরাও সবচেয়ে সেনসিটিভ স্থানগুলোতে উল্কি এঁকে পুরুষদের প্রলুব্ধ করে। দুঃখের বিষয়, গত কয়েক বছর হলো নববর্ষ অনুষ্ঠানেও নারী অঙ্গে এ ধরনের উল্কি আঁকা হচ্ছে। আরো লজ্জার বিষয় হলো এই যে, উল্কি অঙ্কনের ওইসব উত্তেজক দৃশ্যাবলী প্রায় সব প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। চরম ধিক্কারের বিষয় হলো এই যে, এসব এক শ্রেণীর অর্বাচীন ধারা ভাষ্যকারকে ওই সব কার্যাবলীকে আবহমান বাংলার জাতীয় ঐতিহ্য এবং ইতিহাস আশ্রিত সংস্কৃতি বলে প্রচার করতে দেখা গেছে।” (দৈনিক ইনকিলাব)