তাই পহেলা বৈশাখ পালনকারীর হাশর নাশর হিন্দু বৌদ্ধদের সাথে হবে।নাউযুবিল্লাহ।

পহেলা বৈশাখে উপজাতিরা বৈসাবি উৎসব পালন করে।ত্রিপুরাদের কাছে বৈসুক, মারমাদের কাছে সাংগ্রাই ও চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের বিজু নামে পরিচিত। এ তিন জাতিগোষ্ঠী একত্রে উৎসবটি পালন করে থাকে। উৎসবের নামের আদ্যাক্ষর দিয়ে যার যৌথ নামকরণ করা হয়েছে ‘বৈসাবি’।। ত্রিপুরা সম্প্রদায় শিবপূজা ও শিবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে পালন করেন ‘বৈসুক’ বা ‘বৈসু’ উৎসব। মারমাদের ‘সাংগ্রাই’ উৎসবে মারমাদের সবাই গৌতম বুদ্ধের ছবি নিয়ে নদীর তীরে যান এবং দুধ বা চন্দন কাঠের পানি দিয়ে স্নান করান সেটিকে। এরপর আবার ওই ছবিটিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আগের জায়গায় অর্থাৎ মন্দির বা বাসাবাড়িতে। আদিকাল থেকে পুরনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এ সাংগ্রাই উৎসব পালন করে আসছে মারমারা।অন্যদিকে চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যারা উৎসবটিতে প্রত্যেকের ঘরে পাঁচ প্রকারের সবজি দিয়ে বিশেষ একপ্রকার খাবার রান্না করে। তাদের বিশ্বাস, এই পাঁচনের দৈব গুণাবলী আছে, যা আসছে বছরের সকল রোগবালাই ও দুঃখ-দুর্দশা দূর করে থাকে। উৎসবে আদিবাসীরা সবাই সবার দিকে পানি ছুঁড়ে। তাদের মতে, এ পানির মধ্য দিয়ে ধুয়ে যায় বিগত বছরের সকল দুঃখ, পাপ।পানি খেলার আগে অনুষ্ঠিত হয় পানিপূজা। ******************************
*******পহেলা বৈশাখ মুসলমানদের কোন বিশেষ দিবস তো নেয়ই বরং কেউ যদি পহেলা বৈশাখ পালন করে সে হিন্দু বৌদ্ধদের পূজায় শরীক হল।।।। নূরে মুজাসসাম হুজুর পাক ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, 'যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে সে তার দলভুক্ত, তার হাশর নাশর তার সাথেই হবে

'। তাই পহেলা বৈশাখ পালনকারীর হাশর নাশর হিন্দু বৌদ্ধদের সাথে হবে।নাউযুবিল্লাহ।