Home
শবে বরাত শরীফ
শবে বরাত বা ভাগ্য রজনী মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ নিয়ামত ॥ যারা এটা প্রত্যাখ্যান করবে তারা অভাগা
শবে বরাত বা ভাগ্য রজনী মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ নিয়ামত ॥ যারা এটা প্রত্যাখ্যান করবে তারা অভাগা
মহিমান্বিত ভাগ্য রজনী সমাগত। এই রাত্রি পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এর বার্তা বাহক। এই রাত্রি থেকেই শুরু হয়ে যাবে মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এর প্রস্তুতি। কুরআন শরীফ-এ এই রাত্রকে বলা হয়েছে, ‘লাইলাতুম মুবারাকা’ আর হাদীছ শরীফ-এ বলা হয়েছে, ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান’। ভারতীয় উপমহাদেশ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে এই রজনী শবে বরাত হিসেবে প্রসিদ্ধি অর্জন করেছে। শবে বরাত ফারসী ভাষায় ব্যবহৃত শব্দ। ‘শব’ শব্দের আভিধানিক অর্থ রাত আর বরাত শব্দের অর্থ ভাগ্য। সবমিলিয়ে এর অর্থ হলো ভাগ্য রজনী। এই পবিত্র রাত্রিতেই এক বৎসরের ভাগ্য নির্ণয় হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফায়ছালা হয়, জন্ম-মৃত্যু রিযিক তথা জীবনের সকল বিষয়েই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই রাত্রিতে মহান আল্লাহ পাক তিনি রহমতে খাছ নাযিল করে রাত্রির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘোষণা করে থাকেন, “কার কী আরজু আছে পেশ কর আমি কবুল করবো।’ এটা এই রাত্রির একটি বিশেষ আনুষ্ঠানিকতা।
মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মতে হাবীবীর জন্য দোয়া, মাগফিরাত, রহমত ও বরকতের অনেকগুলো দিন ও রাত্রি নির্ধারণ করে রেখেছেন। এই মহিমান্বিত রজনী তারই একটি।
দুঃখের বিষয়, কিছু জাহিল মাওলানা তথা উলামায়ে ছূ’ এই রজনীতে ইবাদত-বন্দেগী করে বিশেষ ফায়দা লাভ করাকে বিদআত বলে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এটা মুসলমানগণের চির শত্রু ইহুদী ও নাছারাদের একটি সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র। যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেই এই রাত্রি ও লাইলাতুল ক্বদর একই রাত্রি তাতে ইবাদত-বন্দেগী করায় বাধা কিসের? নফল ইবাদতের কোনো নির্ধারিত সময় বেঁধে দেয়া হয়নি। শবে বরাতের বিপক্ষে উলামায়ে ছূ’দের দেয়া সবক’টি যুক্তিই তাদের মূর্খতা প্রমাণ করে!