পবিত্র শবে বরাত সম্পর্কে তথাকথিত জাতীয় পত্রিকার কুফরীমূলক বক্তব্যের ঈমানী জবাব। একমাত্র কাফির মুরতাদ শ্রেণীর লোকেরাই পবিত্র শবে বরাতের বিরোধিতা করে (১)

মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুন নিসফি মিন শা’বান তথা পবিত্র শবে বরাত নিয়ে দৈনিক বাংলাবাজার নামক পত্রিকায় ধর্মজ্ঞানশূন্য এক ব্যাংকার কর্তৃক মনগড়া, বিভ্রান্তিকর এলোমেলো ব্যাখ্যা প্রদান করে ‘শবে বরাত : কিছু ভাবনা’ শিরোনামের প্রবন্ধে বলেছে- ‘শবে বরাত সম্বন্ধে পবিত্র কোরআনে সুস্পষ্ট কিছু উল্লেখ নেই। কিন' শবে কদর নিয়ে পবিত্র কোরআনে বিস্তারিত বয়ান করা হয়েছে।’ নাঊযুবিল্লাহ!      

মূলত উক্ত লেখক ধর্মজ্ঞান শূন্য ব্যাংকার হওয়ার কারণে পবিত্র কুরআন শরীফ-এ পবিত্র শবে বরাত নিয়ে সূরা দুখানে  উল্লিখিত সুস্পষ্ট আয়াত শরীফ যে রয়েছে তা জানতে এবং বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে সে যে বলেছে- পবিত্র কোরআনে শবে বরাত সম্বন্ধে কিছু উল্লেখ নেই; এ কথা বলা তার কোন মতেই ঠিক হয়নি; কারণ মহান আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ-এ সুস্পষ্টরূপে সূরা দুখানে আয়াত শরীফ নাযিল করে দেয়ার পরও যদি কেউ বলে সুস্পষ্টরূপে কিছু বলা হয়নি তবে তা আল্লাহ পাক উনার প্রতি মিথ্যারোপ তথা অপবাদের শামিল যা সুস্পষ্টরূপে কুফরী। এর থেকে উক্ত লেখক এবং এমন ধারণা পোষণকারীদের অবিলম্বে খালিছ তওবা ইস্তিগফার করা উচিত।

উল্লেখ্য, নামায-রোযা ফারসী শব্দ হবার কারণে কেউ যেমন বলতে পারে না এ ব্যাপারে কুরআনে সুস্পষ্ট কিছু উল্লেখ নেই তদ্রূপ শবে বরাতও ফারসী শব্দে মশহুর হবার কারণে বলা যাবে না এ ব্যাপারে কুরআন শরীফ-এ কিছু উল্লেখ নেই। বরং নামায-রোযা যেমন কুরআন শরীফ-এ সলাত-সিয়াম শব্দে উল্লেখ আছে তদ্রূপ পবিত্র শবে বরাত পবিত্র কুরআন শরীফ-এর সূরা দুখানে ‘লাইলাতিম মুবারাকাতিন’ শব্দে উল্লেখ আছে।

উক্ত ধর্মজ্ঞানশূন্য ব্যাংকার তার প্রবন্ধে বলেছে- ‘এ রাতে সারারাত জেগে অত্যধিক আমল করার কোন বাধ্যবাধকতা নেই।’ নাঊযুবিল্লাহ! অথচ সিহাহ সিত্তাহর কিতাব ইবনে মাযাহ শরীফ-এ হযরত আলী কাররামাল্লাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বর্ণিত হাদীছ শরীফ-এ স্বয়ং হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উম্মতগণকে আদেশ মুবারক দিয়ে বলেছেন, “এ রাতে তোমরা সারারাত সজাগ থেকে ইবাদত বন্দিগী তথা দোয়া ইস্তিগফারে রত থাক এবং দিনের বেলায় রোযা রাখ।’ হাদীছ শরীফ-এ এমন সুস্পষ্ট রূপে সারারাত সজাগ থেকে দোয়া ইস্তিগফারে রত থাকার কথা বলা হওয়ার পরও জাহিল ব্যাংকার কিসের ভিত্তিতে এবং কার আদেশে বলতে পারলো- ‘শবে বরাতে সারারাত জেগে অত্যধিক আমল করার কোন বাধ্যবাধকতা নেই।’ তার এ মনগড়া বয়ান হাদীছ শরীফ-এর সুস্পষ্ট খিলাফ হবার কারণে কুফরী হয়েছে। বরং হাদীছ শরীফ-এ আদেশসূচক নির্দেশ থাকার কারণে পবিত্র শবে বরাতে সারারাত সজাগ থেকে ইবাদত বন্দিগী দোয়া ইস্তিগফার করা উম্মতে মুসলিমার জন্য ফরজ-ওয়াজিব হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!