“মিশকাত শরীফ”- উনার ১১৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
عن حضرت على عليه السلام قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا كانت ليلة النصف من شعبان فقوموا ليلها وصوموا يومها فان الله تعالى ينزل فيها لغروب الشمس الى السماء الدنيا فيقول الا من مستغفر فاغفرله الا من مسترزق فارزقه الا مبتلى فاعافيه الا كذا الا كذا حتى يطلع الفجر. رواه ابن ماجه.(ইবনে মাজাহ ১/১৪৪: হাদীস ১৩৮৮, ইবনে হিব্বান: হাদীস ১৩৮৮, বায়হাকী শুয়াবুল ঈমান ৫/৪৫৪: হাদীস ৩৮২২, মিশকাতুল মাসাবীহ ২/২৪৫ : হাদীস ১২৩৩, দায়লামী শরীফ ১/২৫৯: হাদীস ১০০৭, তারগীভ ওয়াত তারহীব ২/৭৫: হাদীস ১৫৫, বায়হাক্বী ফাযায়েলে ওয়াক্ত ১/১২২ : হাদীস ২৪, জামেউস সগীর লি সুয়ুতী : হাদীস ১৬৬৫, মিসবাহুল জুজাহ : হাদীস ৪৯১, কানযুল উম্মাল ১২/৩১৪ : ৩৫১৭৭, উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী ১১/৮২, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়াহ ৩/৩০০, মিরকাত ৩য় খ-, ১৯৫-১৯৬, মিরয়াতুল মানাজিহ ৩য় খ- ২৯৩-২৯৪-২৯৫, আশয়াতুল লুময়াত ৪/২১২)
অর্থ: “আমিরুল মু’মিনীন খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন অর্ধ শা’বান তথা লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাতের আগমন ঘটে, তখন ওই রাতে তোমরা ইবাদত-বন্দেগী করে জাগ্রত থাকবে এবং দিবাভাগে রোযা রাখবে। কেননা, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ওই শবে বরাতে সূর্যাস্তের সাথে সাথেই নিকটবর্তী আকাশে নাযিল হন এবং বলতে থাকেন, কোনো ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছ কি? যাকে আমি ক্ষমা করে দিবো। কোনো রিযিক প্রার্থনাকারী আছ কি? যাকে আমি অপরিমিত রিযিক দিয়ে দিবো এবং কোনো বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি আছ কি? যাকে আমি বিপদ থেকে মুক্ত করে দিবো। সাবধান! সাবধান! এভাবেই মহান আল্লাহ পাক তিনি ফজর পর্যন্ত ডাকতে থাকেন।”
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সম্মানিত রাবীগন হচ্ছেন:
(১). আমিরুল মু’মিনীন খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম: তিনি জলীল ক্বদর ছাহাবী।
(২.) হযরত মুয়াবিয়া বিন আব্দুল্লাহ বিন জাফর রহমতুল্লাহি আলাইহি: হযরত ইবনে হাজর আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, তিনি বিশ্বস্ত রাবীদের অর্ন্তভুক্ত ছিলেন এবং নির্ভরযোগ্য ছিলেন। (তাহযীবুত তাহযীব ২/১৯৬)
(৩). হযরত ইবরাহিম বিন মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি: তিনি নির্ভরযোগ্য ছিলেন। (মিযানুল এতেদাল)
(৪). হযরত ইবনু আবি সাবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি: হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ইমাম নাসায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা উনাকে যদিও দ্বয়ীফ বলেছেন, কিন্তু হযরত ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনাকে বড় ফক্বীহ ও ইরাকের কাজী বলে উল্লেখ করেছেন। (মিযানুল এতেদাল ৪/৫০৩)
ছিহাহ সিত্তার অন্যতম ইমাম হযরত আবু দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মুফতী ছিলেন। (তাহযীবুত যাহযীব ১২/২৭, মিযানুল এতেদাল ৪/৪৬১)
(৫). হযরত আব্দুর রাজ্জাক ইবনু হাম্মাম ইবনে নাফে রহমতুল্লাহি আলাইহি: হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনাকে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বড় নির্ভরযোগ্য রাবী বলেছেন। (তাজকিরাতুল হুফফাজ ১/৩৬৪)
(৬). হযরত হাসান বিল আলী আল খালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি: হযরত খতীব বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য এবং হাফিযে হাদীছ ছিলেন। (তারীখে বাগদাদ ৭/৪২৫)
হযরত ইবনে হাজর আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য এবং হাফিযে হাদীছ ছিলেন। (তাহজীবুত তাহজীব ২/৩০২)
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার চতুর্থ রাবী হযরত ইবনু আবি সাবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে নিয়ে সালাফীদের আপত্তি। গুমরাহ ওহাবী নাছির উদ্দীন আলবানীসহ আরো কিছু গুমরাহ সালাফীদের মুরব্বীরা উনার বিরুদ্ধে হাদীছ শরীফ জালের অভিযোগ করেছে। অথচ হযরত ইবনু আবি সাবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কিন্তু যথাক্রমে কাজী, ফক্বীহ এবং মুফতী ছিলেন। গুমরাহ ওহাবী সালাফীদের আপত্তির প্রেক্ষিতে বিষয়গুলো পর্যালোচনা না করলেই নয়।
মুসলমান শাসন আমলে একজন ‘কাজী’ হওয়ার যোগ্যতা কি- সেটা আলোকপাত করা প্রয়োজন।
একজন কাজীর প্রধান বৈশিষ্টই হচ্ছে- সর্বোচ্চ তাক্বওয়া। সেই সাথে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান। যিনি ‘কাজী’ তিনি অবশ্যই আদীল বা চরম ন্যায়পরায়ণ হবেন। এবং বেমেছাল ইনছাফগার হবেন। শুধু তাই নয়, একজন কাজীর পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ৬৬৬৬টি পবিত্র আয়াত শরীফ উনার আদেশ সূচক ১০০০ পবিত্র আয়াত শরীফ, নিষেধ সূচক ১০০০ পবিত্র আয়াত শরীফ, ওয়াদা সূচক ১০০০ পবিত্র আয়াত শরীফ, ভীতি সূচক ১০০০ পবিত্র আয়াত শরীফ, ঘটনা সূচক ১০০০ পবিত্র আয়াত শরীফ, উপদেশমূলক ১০০০ পবিত্র আয়াত শরীফ, হালাল সূচক ২৫০ পবিত্র আয়াত শরীফ, হারাম বিষয়ে ২৫০ পবিত্র আয়াত শরীফ, তাজবীহ সংক্রান্ত ১০০ পবিত্র আয়াত শরীফ, বিবিধ বিষয়ে ৬৬টি পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা হুকুম সম্পর্কে পূর্ণরূপে অবহিত থাকতে হবে। এবং কয়েক হাজার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার হাফিয হবেন। এবং প্রতিটা বিষয়ে অত্যন্ত সত্যবাদী হবেন। যেহেতু তিনি বিচারক, সেহেতু উনার যোগ্যতার মাপকাঠি সহজেই অনুমেয়। (দলীল: সমূহ ফিক্বহের কিতাব)
সহজেই বোঝা যাচ্ছে- একজন কাজী মাতরূক বা পরিত্যাজ্য ব্যাক্তি হতে পারেন না। তাহলে ৭০ হাজার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার হাফিয (মিযানুল এতেদাল ৪/৪৬১) এবং একজন কাজী হযরত ইবনু আবি সাবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যে রাবী হিসাবে সিকাহ, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ রইলো না।
হযরত ইবনু আবি সাবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি শুধু কাজীই ছিলেন না, সাথে সাথে তিনি ছিলেন ফক্বীহ। (মিযানুল এতেদাল ৪/৫০৩)
একজন ফক্বীহর যোগ্যতা সর্ম্পকে ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বক্তব্যই যথেষ্ট,
*انما الفقيه الزاهد فى الد نيا الراغب فى الا خرة البصير بذنبه المدائم على عبادة ربه الورع الكف عن اعراض المسلمين العفيف عن اموالهم النا صح لجماعتهم.
অর্থ: “নিশ্চয়ই ফক্বীহ (হাক্বীক্বী আলিম) ঐ ব্যক্তি, যিনি দুনিয়া থেকে বিরাগ, আখিরাতের দিকে ঝুঁকে রয়েছেন, গুনাহ থেকে সতর্ক, সর্বদা ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল, পরহেযগার, মুসলমানদের মান-সম্ভ্রম নষ্ট করেন না, তাদের সম্পদের প্রতি লোভ করেন না এবং অধীনস্থ লোকদেরকে নছীহত করেন।” (তাফসীরে কবীর)
সুতরাং ফক্বীহ হিসাবে হযরত ইবনু আবি সাবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কেমন ব্যাক্তিত্ব ছিলেন, তা নতুন করে বলার কোনো অবকাশই রাখে না। উপরোক্ত ক্বওল শরীফই যথেষ্ট।
এছাড়ও হযরত ইবনু আবি সাবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্পর্কে বিখ্যাত ইমাম হযরত আবু দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, তিনি মদীনা শরীফ উনার মুফতী ছিলেন। (তাহযীবুত যাহযীব ১২/২৭, মিযানুল এতেদাল ৪/৪৬১)
আর একজন মুফতী বা ফতোয়াদানকারীর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে হাফিযে হাদীছ হযরত জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ফতোয়াদানকারী বা মুফতীকে অবশ্যই ইলমে লাদুন্নী বা খোদায়ী প্রদত্ত জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে। (আল ইতকান ফি উলুমিল কুরআন)
সুতরাং সহজেই বলা যায়- হযরত ইবনু আবি সাবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এ বিশেষ গুনাবলীর অধিকারী ছিলেন। আর মদীনা শরীফ উনার একজন মুফতীর কি পরিমাণ যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন, সেটা আক্বল সম্পন্ন ব্যাক্তি মাত্রই বুঝতে পারার কথা।
তাই রাবী হিসাবে উনাকে ‘মাতরূক’ বলার আগে অবশ্যই হুঁশিয়ার হতে হবে। হযরত ইবনু আবি সাবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মোটেও মাতরূক ছিলেন না। বরং তিনি একজন যোগ্য হাদীছ বিশারদ ও সেই সাথে কাজী, ফক্বীহ ও মুফতী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! প্রকৃতপক্ষে সত্য বিষয় হচ্ছে- যারা উনাকে মতরূক বলেছে বা বলছে, প্রকৃতপক্ষে তারাই মতরূক।
এছাড়াও হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের কিতাবে একটা
পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন। পবিত্র হাদীছ শরীফখানা হলো,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: ينزل ربنا تبارك وتعالى في كل ليلة إلى سماء الدنيا حين يبقى ثلث الليل الآخر فيقول من يدعوني فأستجيب له ومن يسألني فأعطيه ومن يستغفرني فأغفرله. (أخرجه البخاري ومسلم)
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্ণিত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, আমাদের রব তায়ালা তিনি প্রতি রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকতে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন ও বলতে থাকেন, কে আছ আমার কাছে দোয়া করবে; আমি কবুল করবো। কে আছ আমার কাছে চাইবে; আমি দান করবো। কে আছ আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে; আমি তাকে ক্ষমা করবো।” (বুখারী শরীফ: হাদীছ- ১০৯৪, মুসলিম শরীফ: হাদীছ- ১৮০৮)সুতরাং পবিত্র ‘বুখারী শরীফ’ ও পবিত্র ‘মুসলিম শরীফ’ উনাদের মধ্যে বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার হতে বর্ণিত পবিত্র শবে বরাত সম্পর্কিত পবিত্র হাদীছ শরীফখানাও সমর্থন পেলো। অতএব, বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা পবিত্র শবে বরাত সম্পর্কিত পবিত্র হাদীছ শরীফ শক্তিশালী হলো।
‘মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া’ ৭/৪১২-এ উল্লেখ আছে, “এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সমর্থনে শাহেদ হাদীছ শরীফ বিদ্যমান। ফলে পবিত্র হাদীছ শরীফটির মৌলিকত্ব স্বীকৃত।”
এছাড়াও এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার অন্যতম বিশুদ্ধ হাদীছ গ্রন্থ ছিহাহ সিত্তার অন্যতম কিতাব “ইবনে মাজাহ শরীফ” উনার মধ্যে অর্ধ শা’বানের তথা পবিত্র শবে বরাত সম্পর্কে একটি বাবও আনা হয়েছে। যেমন, “ইবনে
মাজাহ শরীফ”-উনার ১০০ পৃষ্ঠায় বাবের নাম উল্লেখ করা হয়েছে,
باب ماجاء فى ليلة النصف من شعبان
এখন কথা হচ্ছে- পবিত্র লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাতের যদি অস্তিত্বই না থাকতো, তবে হযরত ইমাম ইবনে মাজাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এ প্রসঙ্গে স্বতন্ত্র একটি অধ্যায় রচনা করলেন কেন? এবং সেভাবে এই পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করলেন কেন? হাফিযে হাদীছ ইমাম হযরত ইবনে মাজাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কি সালাফীদের চাইতে হাদীছ শরীফ কম বুঝতেন? নাউযুবিল্লাহ!ইবনে মাজাহ শরীফ উনার বিশ্লেষণে অনেক ইমাম অনেক মতামত ও চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন এবং অনেকগুলো পবিত্র হাদীছ শরীফ সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন। কিন্তু কেউই পবিত্র শবে বরাত সম্পর্কে বর্ণিত উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাপারে জাল বা মওজু বলেন নাই। সুতরাং অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণ হলো- পবিত্র শবে বরাত সম্পর্কে খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার হতে বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফখানা নিঃসন্দেহে ছহীহ। এবং সালাফীদের সমস্ত আপত্তির এখানেই সমাপ্তি ঘটবে আশা করি।