কেবল কমবখত, বদবখত, অশিক্ষিত, মূর্খ লোকেরাই বলে থাকে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ শবে বরাতের কোন দলীল নেই। নাঊযুবিল্লাহ


আদার ব্যাপারী জাহাজের খবর যেরূপ জানে না, ব্যাঙ যেরূপ কূপের মধ্যে থেকেই মনে করে এটাই সাগর। ঠিক বর্তমানে আমাদের দেশে কিছু আদার ব্যাপারী ও কূপের ব্যাঙ মার্কা মৌলানা রয়েছে যারা বলে থাকে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর কোথাও শবে বরাতের বর্ণনা নেই।

ওই কাঠ মোল্লার দল ও আদার ব্যাপারী মার্কা কূপের ব্যাঙের কাছে আমার প্রশ্ন, তারা কি বলতে পারবে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর কোথায় নামায ও রোযা শব্দের উল্লেখ রয়েছে? কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর কোথাও মূলত নামায ও রোযা শব্দের উল্লেখ নেই বরং ছলাত, ছওম বা ছিয়াম শব্দের উল্লেখ রয়েছে ছলাত অর্থ নামায আর ছওমের বহু বচন হচ্ছে ছিয়াম, যার অর্থ হচ্ছে রোযা। আর নামায ও রোযা শব্দ দুটি ফারসী। ভারত উপমহাদেশে হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন ফারসী ভাষী। যেই কারণে উনার ফারসী ভাষার ‘নামায’ ও ‘রোযা’ শব্দ দুটি বহুল ব্যবহারের কারণে বাংলার সাথে মিলে গিয়েছে। এখন মানুষ নামায বলতে ছলাতকেই বুঝায় আর ‘রোযা’ বলতে ছিয়ামকেই বুঝায়।

ঠিক তেমনি কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর কোথায়ও শবে বরাত উল্লেখ না থাকলেও সূরা দু’খান-এর মধ্যে ‘লাইলাতুম মুবারকা’ ও হাদীছ শরীফ-এর লাইলাতু নিছফি মিন শা’বান উল্লেখ রয়েছে। আর হযরত বড়পীর সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি ‘লাইলাতুম মুবারকা বা লাইলাতু নিছফি মিন শা’বান’কে উনাদের ফারসী ভাষায় শবে বরাত বলেছেন। যার অর্থ হচ্ছে ভাগ্য রজনী।

যেহেতু মানুষের ১ বছরের রিযিক হায়াত ও মউতসহ সমস্ত বিষয়ে ফায়সালা করা হয়। সেজন্যে এ রাত্রিকে শবে বরাত বা ভাগ্য রজনী বলা হয়েছে। অতএব, দুনিয়ার সমস্ত মুসলিম ভাই-বোনদের নিকট আমার উদাত্ত আহবান আপনারা আদার ব্যাপারী মার্কা ও কূপের ব্যাঙ মার্কা মালানাদের মনগড়া ফতওয়াকে গ্রহণ করে শবে বরাতের নাজ-নিয়ামতের হিসসা থেকে বঞ্চিত হবেন না। বরং অবশ্যই অবশ্যই শবে বরাত পালন করতেন।