অনেকে বলে থাকে যে, “কুরআন শরীফ-হাদীছ শরীফ-এ শবে বরাত বলে কিছু নেই।” আসলে না থাকাটাই স্বাভাবিক।
কারণ পবিত্র কুরআন শরীফ হলো আরবী ভাষায় আর শবে বরাত হলো ফারসী ভাষায় মশহুর। তাই শবে বরাত শব্দ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ তালাশ করতে যাওয়া চরম মূর্খতা। তারা যদি নামায, রোযা কিংবা খোদা শব্দ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ-এ খোঁজার চেষ্টা করে তাও তো পাবে না। কারণ পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ-এ এগুলোকে ‘ছলাত’ ‘ছিয়াম’ শব্দ দ্বারা উল্লেখ করা হয়েছে।
তদ্রুপ পবিত্র শবে বরাতকে কুরআন শরীফ-এ, ‘লাইলাতিম মুবারাকাতিন’ এবং হাদীছ শরীফ-এ ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান’ শব্দে সম্বোধন করা হয়েছে।
এছাড়া পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এ উক্ত পবিত্র রাতকে সৌভাগ্য রজনী এবং দোয়া কবুলের রাত বলা হলেও এবং এ ব্যাপারে সমস্ত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ও হযরত ইমাম-মুজতাহিদ আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা একমত পোষণ করার পরও তারা বলে থাকে- ‘এটা ঠিক হবে না, অনেকটা ভুল হবে।’ নাঊযুবিল্লাহ!
তবে কী তারা স্যুট টাই পরে, দাড়ি মোছ ছেঁটে, চেছে, ছবি তুলে, ইহুদী-নাছারাদের শিক্ষায় জিহালতীর ডিগ্রি নিয়ে নিজেদেরকে নব্য হাদীছ বিশারদ ইমাম-মুজতাহিদ হিসেবে জাহির করতে চায়? নতুবা তারা কী করে এটা বলতে পারে- ‘হাদীছের সনদ নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে, কেউ কেউ এগুলোকে মাওজু হাদীছ বলেছে।’ নাঊযুবিল্লাহ!
তারা কী পবিত্র কুরআন শরীফ কিংবা হাদীছ শরীফ-এর কোথাও থেকে দেখাতে পারবে পবিত্র শবে বরাত-এর হাদীছ শরীফ-এর বিরুদ্ধে অন্য কোনো আয়াত শরীফ কিংবা কোনো হাদীছ শরীফ রয়েছে?