পবিত্র শবে বরাত দোয়া কবুলের খাছ রাত

উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ৪টি রাতে বেহিসাব রহমত নাযিল করেন। অর্থাৎ খাছভাবে দুয়া কবূল করেন 
১. পবিত্র রজব উনার প্রথম রাতে, 
২. পবিত্র শা’বান মাস উনার মধ্য তারিখের রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে বরাতে 
৩. পবিত্র ঈদুল আযহা উনার রাতে 
৪. পবিত্র ঈদুল ফিতর উনার রাতে। 

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই দোয়া বা মুনাজাত পাঁচ রাতে কবুল হয়ে থাকে। ১. পবিত্র রজব উনার প্রথম রাত ২. পবিত্র শা’বান মাস উনার মধ্য তারিখের রাতে অর্থাৎ পবিত্র শবে বরাতে ৩. পবিত্র ঈদুল ফিতর উনার রাতে ৪. পবিত্র ঈদুল আযহা উনার রাতে ৫. পবিত্র ক্বদর উনার রাতে।”

অতএব, পবিত্র শবে বরাতে প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সবার উচিত নিজের অতীত জীবনের গুনাহখতা থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং যার যা নেক আরজু রয়েছে তা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পেশ করা। সর্বোপরি মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি-রেযামন্দি তলব করা। 
কাজেই প্রত্যেক মুসলমান, অমুসলমান সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- তারা যেন পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে কমপক্ষে ৩ দিনের ছুটি ঘোষণা করে এবং সরকারিভাবে সারাদেশে পবিত্র শবে বরাত পালন করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। 
মহান আল্লাহ পাক তিনি সকলকে সে তাওফীক দান করুন। আমীন!