বরকতময় এ রজনীতে আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত-মারিফাত, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি হাছিল করতে ইবাদত-বন্দেগী করার জন্যই মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আদেশ দান করেন।
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, পবিত্র শাবান মাসের মধ্যভাগে অর্থাৎ ১৪ ই শাবান দিবাগত রাতে তোমরা নামায-কালাম, ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকো এবং দিনে রোযা রাখো।
কাজেই, মশহুর সকল আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা যেখানে সমস্ত সুন্নতগুলোকে ফরয বলে আখ্যায়িত করেন সেখানে এরকম আদেশসূচক একটি ইবাদত-বন্দেগীকে ফরয ব্যতীত আর কি বলা যায়?
প্রকৃতপক্ষে হযরত আওলিয়ায়ে কিরামগণ উনারা মনগড়াভাবে এ ফতওয়া দেননি বরং সরাসরি কুরআন শরীফ এবং হাদীছ শরীফ থেকেই দিয়েছেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এর বিভিন্ন স্থানে ইরশাদ করেন, আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তিবা বা অনুসরণ কর, তিনি যা এনেছেন তা তোমরা আঁকড়ে ধর, আমার মুহব্বত পেতে হলে আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুহব্বত কর, আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনিই হচ্ছেন তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ।
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, পাঁচ রাত্রিতে দোয়া কবুল হয়, আর সেগুলো হলো- পবিত্র শবে বরাত, পবিত্র শবে ক্বদর, দুই ঈদের দুই রাত্র এবং রজব মাসের পহেলা রাত্র।
কাজেই, পবিত্র শবে বরাত-এর বুযূর্গী-সম্মান অনুধাবন করা এবং ওই রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগী করে আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত-মারিফাত, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি হাছিল করা সকলের জন্যই ফরয।