বান্দার আগামী এক বছরের যাবতীয় বিষয়ের ফায়ছালা করা হয় এ রাতেই এবং তা জারী করা হয় ক্বদরের রাতে।
তাই প্রত্যেকের উচিত এ রাতে সজাগ থেকে কবীরা, ছগীরা, কুফরী, শিরকী সর্বপ্রকার গুনাহ হতে খালিছ তরবা-ইস্তিগ্ফার করতঃ যার যা নেক দুয়া বা নেক আরজু রয়েছে তা দরবারে ইলাহীর নিকট পেশ করা।
এ মর্মে ছিহাহ সিত্তাহর অন্যতম হাদীছ শরীফ গ্রন্থ “ছহীহ ইবনে মাযাহ” শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে,
“হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,
যখন অর্ধ শা’বানের রাত্রি অর্থাৎ শবে বরাত উপস্থিত হবে তখন তোমরা উক্ত রাত্রিতে নামায আদায় করবে এবং দিনে রোযা রাখবে। কেননা নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি উক্ত রাত্রিতে সূর্যাস্তের সময় পৃথিবীর আকাশে আসেন অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন। অতঃপর ঘোষণা করেন, ‘কোনো ক্ষমা প্র্রার্থনাকারী আছ কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব।’ ‘কোনো রিযিক প্রার্থনাকারী আছ কি? আমি তাকে রিযিক দান করবো।’ ‘কোনো মুছিবতগ্রস্ত ব্যক্তি আছ কি? আমি তার মুছিবত দূর করে দিব।’ এভাবে ফজর বা ছুবহে ছাদিক পর্যন্ত ঘোষণা করতে থাকেন।”
(ইবনে মাযাহ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ, লুময়াত, আশয়াতুল লুময়াত).