‘যখন পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার ১৫ তারিখ রাত্রি অর্থাৎ পবিত্র বরাত শরীফ উনার রাত্রি এসে যাবে তখন তোমরা সারা রাত্র ইবাদত করো ও দিনে রোযা রাখো।’
পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার মধ্যে তিনটি রোযা রাখা খাছ সুন্নত মুবারক।
যারা তিনটি রোযা রাখবে তাঁদের সমস্ত গুণাহখতাগুলি ক্ষমা করে দেয়া হবে।
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার মধ্যে বেশি বেশি রোযা রাখতেন।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘হযরত উসামা ইবনে যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন-
আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
আপনাকে পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার মধ্যে যতবেশি রোযা রাখতে দেখি অন্য কোনো মাসে তা দেখিনা তার কি কারণ?
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, পবিত্র শা’বান শরীফ মাস হচ্ছে মুবারক বা বরকতময় মাস। এ মাসে বান্দা-বান্দি উনাদের আমলগুলো মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার-এ পেশ করা হয়। আমি চাই আমার আমল মুবারকগুলো রোযাদার অবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার-এ পেশ করা হোক।” সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার রোযার ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে,
“হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে খুতবা মুবারক-এ বলতে শুনেছি, তিনি বলেন,
তোমরা পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার মধ্যে রোযা রেখে তোমাদের শরীরকে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার জন্য প্রস্তুত করে নাও। যে ব্যক্তি পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার মধ্যে তিনটি রোযা রাখবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার গুনাহখাতা ক্ষমা করে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ!
“হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে খুতবা মুবারক-এ বলতে শুনেছি, তিনি বলেন,
তোমরা পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার মধ্যে রোযা রেখে তোমাদের শরীরকে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার জন্য প্রস্তুত করে নাও। যে ব্যক্তি পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার মধ্যে তিনটি রোযা রাখবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার গুনাহখাতা ক্ষমা করে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
“পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার পনেরো তারিখ অর্থাৎ পবিত্র বরাত উনার দিনে যে রোযা রাখবে, জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করবে না।” সুবহানাল্লাহ!
“পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার পনেরো তারিখ অর্থাৎ পবিত্র বরাত উনার দিনে যে রোযা রাখবে, জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করবে না।” সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
“পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার রোযার ইফতারীর সময় যে ব্যক্তি তিনবার পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, তার পূর্বের গুনাহখাতা ক্ষমা করা হবে এবং তার রিযিকে বরকত দেয়া হবে।” সুবহানাল্লাহ!
“পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার রোযার ইফতারীর সময় যে ব্যক্তি তিনবার পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, তার পূর্বের গুনাহখাতা ক্ষমা করা হবে এবং তার রিযিকে বরকত দেয়া হবে।” সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে সমস্ত ইবাদত বন্দেগী করার তৌফিক দান করুন।আমীন।