পবিত্র শবে বরাত উনাকে লক্ষ্মীপূজার সাথে তুলনা করে মুফতে ইবরাহীম কুফরী করেছে (৩)

পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা সাবেত যে, পবিত্র শবে বরাত উনাকে পালন করা জায়িয। এমনকি মুফতে ইবরাহীমের গুরু নাসিরুদ্দীন আলবানী পবিত্র শবে বরাত উনার সম্পর্কিত পবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ বিশুদ্ধ হওয়ার কারণে সে স্বীকার করে ফতওয়া দিতে বাধ্য হয়েছে যে, পবিত্র শবে বরাত উনাকে পালন করা জায়িয।

আলবানী তার স্বলিখিত কিতাব ‘সিলসিলাতুল আহাদিসিস সহীহা ওয়া শাইয়ুম মিন ফিকহিহা ওয়া ফাওয়াইদিহা’ কিতাবের ৩য় খণ্ডের ১৩৫ নং পৃষ্ঠায় পবিত্র শবে বরাত উনাকে পালন করা জায়িয ফতওয়া দিয়েছে। কিতাবটি সউদী আরবের রাজধানী রিয়াদের মাকতাবাতুল মা’আরিফ থেকে ১৪১৫ হিজরী সালে প্রকাশিত হয়েছে। আলবানী উক্ত কিতাবে শিরোনাম দিয়েছে ‘মা সাহহা ফী লাইলাতিন নিসফ’ অর্থাৎ শবে বরাত বিষয়ে যা ছহীহ। এই শিরোনামের আওতায় সে এই পবিত্র হাদীছ শরীফটি লিপিবদ্ধ করেছে, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র শা’বান মাস উনার মধ্যবর্তী সময়ের রাতে (পবিত্র শবে বরাতে) উনার সৃষ্টিকুলের প্রতি রহমত নাযিল করেন এবং হিংসুক ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করেন।”

এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে বর্ণনা করার পর আলবানী লিখেছে, “হাদীছটি ছহীহ। সাহাবাগণের একটি জামায়াত থেকে বিভিন্ন সনদ সূত্রে এই হাদীছ শরীফটি বর্ণিত হয়েছে। উনারা হলেন, হযরত মুআয বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আবু সালাবা আল খুশানী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আবু মুসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম, হযরত আউফ বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম।”

এরপর আলবানী প্রত্যেক পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের সনদসূত্র কিতাবের নামসহ বিস্তারিত বর্ণনা করে লিখেছে, ‘সারকথা হলো এ পবিত্র হাদীছ শরীফটি সামষ্টিক সনদসূত্রে নিঃসন্দেহে ছহীহ”।

অথচ গত ১৫ শা’বান শরীফ ১৪৩৪ হিজরী তারিখে নরসিংদী জামিয়া কাসেমিয়ার শিক্ষক মুফতে কাজী ইবরাহীম একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে পবিত্র শবে বরাত উনাকে লক্ষ্মীপূজার সাথে তুলনা করে কুফরী করেছে। বিধায় তাকে সালাম দেয়া, তার পিছনে নামায পড়া, তার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা এবং তার মাদরাসায় যাকাত দেয়া প্রতিটিই কুফরী হিসেবে গণ্য হবে।