পবিত্র শবে বরাত উনাকে লক্ষ্মীপূজার সাথে তুলনা করে মুফতে ইবরাহীম কুফরী করেছে (১)

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা দুখান শরীফ উনার ৩, ৪ ও ৫ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে ইরশাদ মুবারক ফরমান,
“নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে (শবে বরাতে) পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল করেছি অর্থাৎ নাযিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর আমিই ভয় প্রদর্শনকারী। উক্ত রাত্রিতে আমার পক্ষ থেকে সমস্ত প্রজ্ঞাময় কাজগুলো ফায়ছালা করা হয়। আর নিশ্চয়ই আমিই প্রেরণকারী।” 
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয় দোয়া খাছভাবে পাঁচ রাতে কবুল হয়ে থাকে।

১. পবিত্র শাহরুল্লাহিল হারাম রজবুল আছম মাস উনার পহেলা রাত
২. পবিত্র শবে বরাত বা বরাত উনার রাত
৩. পবিত্র শবে ক্বদর বা পবিত্র ক্বদর উনার রাত
৪. পবিত্র ঈদুল ফিতর উনার রাত
৫. পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার রাত।”

অথচ গত ১৫ই শা’বান শরীফ ১৪৩৪ হিজরী তারিখে নরসিংদীর জামিয়া কাসেমিয়া নামক কওমী মাদরাসার শিক্ষক মুফতে ইবরাহীম একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে পবিত্র শবে বরাত উনাকে লক্ষ্মীপূজার সাথে তুলনা করে কুফরী করেছে।  বিধায়, তাকে সালাম দেয়া, তার পিছনে নামায পড়া, তার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা এবং তার মাদরাসায় পবিত্র যাকাত দেয়া- প্রতিটিই কুফরী হিসেবে গণ্য হবে।