পবিএ শবে বরাত উনার ফজীলত

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,
যে ব্যক্তি শা’বান মাসে মাএ একটি রোযা রাখবে তার শরীরকে মহান আল্লাহপাক দোযখের আগুন থেকে হারাম করে দিবেন এবং বেহেশতের মাঝে সে ব্যক্তি হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনার সঙ্গী হিসেবে থাকবেন এবং তৎসঙ্গে হযরত আইয়ুব আলাইহিস সালাম ও হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম উনাদের ন্যায় সওয়াব দান করবেন।
অতঃপর কোন ব্যক্তি যদি পূর্ণ শা’বান মাসেই রোযা রাখে তাহলে মহান আল্লাহপাক তিনি তার উপর মৃত্যুর তাকলীফ সহজ করে দিবেন এবং কবরের অন্ধকার দূর করে দিবেন। অতঃপর মুনকার নাকীরের প্রশ্নের ভয়াবহ অবস্থা দূর করে দিবেন এবং ক্বিয়ামতের দিন মহান আল্লাহপাক তিনি উক্ত ব্যক্তির ইযযত আবরু আবৃত রাখবেন।
(সুবহানআল্লাহ্)

হযরত আবু হুরাইয়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত আছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক সল্লাল্লাম আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন।

শা’বান মাসের অর্ধ রাতে তথা শবে বরাতে হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তিনি এসে আমাকে বললেন ইয়া হাবীবাল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি আকাশের দিকে মাথা উওোলন করুন। অতঃপর হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, এই রাএির বৈশিষ্ট্য কি?

তখন হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন এই অর্ধ শা’বানের রাতে তথা শবে বরাতে মহান আল্লাহপাক ৩০০ টি রহমতের দরজা খুলে দিয়েছেন। যারা আল্লাহপাক উনার সাথে শিরক করেনা, যাদু করেনা, গণক নয়, বারংবার ব্যভিচার করেনা ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধন ছিন্ন করে না । এ ধরনের সমস্ত জগৎবাসীকে ক্ষমা করে থাকেন।
(সুবহানআল্লাহ্)

হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ করেন, অর্ধ শা’বানের রাতে তথা শবে বরাতে মহান আল্লাহপাক সৃষ্টির প্রতি বিশেষ রহমত নাযিল করেন।অতঃপর সমস্ত সৃষ্টিকে ক্ষমা করে থাকেন। তবে যারা মুশরিক এবং হিংসুক অর্থ্যাৎ যে তার মুসলমান ভাইয়ের সাথে হিংসা করে থাকে তাদেরকে ঐ রাএিতে ক্ষমা করেন না।