রাষ্ট্রধর্মের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব।

রাষ্ট্রধর্মের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি-
কারণ ইসলাম বিদ্বেষীরা এখন যতই ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড ঘটাক
সেটা তারা কেবল একটি স্থানে আটকে যায়।
আটকানোর স্থানটি হলো সংবিধানে রয়েছে- রাষ্ট্রধর্ম হলো ‘ইসলাম’।
অর্থাৎ সংবিধান অনুসারে তারা তাদের অপকর্ম ঘটানোর বৈধতা পায় না।
কিন্তু সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিতে পারলে
বাংলাদেশের মানুষকে জোর করে হিন্দু বানাতে তাদের আইনত কোন বাধা থাকবে না।
তখন তারা দাবি করতে পারবে- সংবিধান ১০০% ধর্মনিরপেক্ষ, সুতরাং তুমি হিন্দু হও
আর যদি- রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকে, তখন উল্টো আপনি বলতে পারবেন- সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তুমি আমার উপর এটা চাপিয়ে দিতে পারো না।
যাই হোক, আগামীকাল ১৯শে মার্চ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলে শুনানী হবে। মামলা করেছে ইসকনী হিন্দু সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১০ সালে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কোরআনের শুদ্ধাতা চ্যালেঞ্জে করে রিট করেছিলো দেব নারায়ণ মহেশ্বরের নামক এক ব্যক্তি (http://www.somewhereinblog.net/blog/rainspot/29214276)।
এছাড়া গত বছর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করার নিয়ে যে রিটটি খারিজ হয় তার একজন আপীলকারী ছিলো হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা সিআর দত্ত এবং উকিল ছিলো পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা সুব্রত চৌধুরী।

আগামীকালকের রিটটি নিয়ে আপনাদের বিশেষ সতর্ক হতে হবে এবং ব্যাপক প্রতিবাদ করতে হবে কারণ-
১) রিটটি প্রধানবিচারপতি এসকে সিনহার কোর্টে উঠতে পারে। এবং সে কখনই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখার পক্ষে মত দিবে না।
২) মামলাটি আপীল বিভাগ থেকে জারি হলে পুরনায় আপীল করে আটকানোর আর সুযোগ থাকবে না (রিভিউ হতে পারে)। ফলে বিনা বাধায় বাংলাদেশের সংবিধানের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম শেষ হয়ে যাবে।
আপনারা এখন তিনটি কাজ করতে পারেন-
২) প্রত্যেকে এর প্রতিবাদে স্ট্যাটাস দিতে পারেন।
৩) আগামীকালকে সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গনে সবাই দলে দলে জড়ো হোন। ইসলামী দলগুলো হাইকোর্ট ঘেরাও করার ঘোষনা দেন।

সবাই একযোগে প্রতিবাদ করলে রাষ্ট্রধর্ম পরিবর্তনের কথা তারা ফের বাতিল করবে বলে মনে করছি।