Loading...

শবে ক্বদর ও শবে বরাত-এর মধ্যে পার্থক্য

১. সূরা ক্বদর দ্বারা রমাদ্বান শরীফ-এর শেষ ১০ দিনের যে কোন এক বেজোড় রাত তথা লাইলাতুল ক্বদর অর্থাৎ শবে ক্বদর উদ্দেশ্য। কিন্তু সূরা দুখান-এ বর্ণিত আয়াত শরীফ দ্বারা শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত তথা ১৫ তারিখ রাতকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। সে রাতকেই লাইলাতুম মুবারকাহ, লাইলাতুল বরাত, শবে বরাত বলা হয়।

২. শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাতে তথা শবে বরাতে কুরআন শরীফ এক সঙ্গে ১ম আসমানে নাযিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আর রমাদ্বান মাসের শেষ দশকের বেজোড় রাতের শবে ক্বদরে কুরআন শরীফ প্রথম আসমানে বাইতুল ইজ্জতে এক সাথে নাযিল করা হয়।

৩. মানুষ ও জিনের আগামী এক বছরের তাক্বদীর, ভাগ্য, রিযিক, সন্তান ইত্যাদি সবকিছু শবে বরাতে ফয়সালা করা হয়। এ জন্য এ রাতকে বলা হয় লাইলাতুল ফায়সালা বা লাইলাতুত তাজবীয। আর শবে ক্বদরে এ বিষয়গুলো জারি করা হয়। এজন্য এ রাতকে লাইলাতুল জারী বা লাইলাতুত তানফীয বলা হয়।

৪. শবে বরাত শাবান মাসের ১৫ তারিখে। আর শবে ক্বদর রমাদ্বান মাসের শেষ দশকের বেজোড় রাতের যে কোন এক রাতে।

(দলীল : সকল তাফসীর, হাদীছ শরীফ, হাদীছ শরীফ-এর শরাহ ও ফিক্বহের কিতাবে বর্ণিত আছে)