১৫ শা’বানের রাতকেই শবে বরাত বলে। এই রাতের ইবাদতের ফযীলত সম্পর্কে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যখন শা’বান মাসের ১৫ তারিখের রাত আগমন করে তখন তোমরা সমস্ত রাত ইবাদত বন্দেগীতে কাটিয়ে দাও এবং দিনে রোযা রাখ। কেননা শবে বরাত-এর রাত শুরু হওয়ার সাথে সাথেই মহান আল্লাহ পাক তিনি দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে নাযিল হন অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন এবং ইরশাদ করেন, কে আছো ক্ষমাপ্রার্থী? তাকে আমি ক্ষমা করব। কে আছো রিযিক প্রার্থী? যাকে আমি অপরিমিত রিযিক দান করব। কে আছো বিপদগ্রস্ত? যার বিপদ আমি ঘুচাব। এমনিভাবে ছুবহে ছাদিক পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে বান্দা-বান্দি বা উম্মতদের প্রতি ঘোষণা হতে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
শবে বরাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দা-বান্দী বা উম্মতের সমস্ত দোয়া ও ইবাদত বন্দেগী কবুল করে থাকেন। পাপরাশি ক্ষমা করেন। বিশেষ রহমত নাযিল করেন।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি শবে বরাত-এর রাতে এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আজকে শবে বরাত-এর রাত। বনী কলব গোত্রের ছাগলের পশমের চেয়ে অধিক সংখ্যক আপনার গুনাহগার উম্মতকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমা করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- শবে বরাত যথাযথভাবে পালনের জন্য এ উপলক্ষে কমপক্ষে তিন (৩) দিন ছুটি ঘোষণা করা। পাশাপাশি সরকারিভাবে সারাবিশ্বে শবে বরাত পালন করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।