মহান আল্লাহপাক তিনি ইরশাদ মুবারক হয়েছে-إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُّبَارَكَةٍ ۚ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ ﴿٣﴾ فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ ﴿٤ অর্থ মুবারকঃ-নিশ্চয়ই আমি বরকত ময় রাত্রিতে ( শবে বরাত)পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল করেছি,অর্থাৎ নাযিলের সিন্ধান্ত নিয়েছি আর আমি ভয় প্রদর্শন কারী উক্ত রাত্রিতে আমার পক্ষ থেকে সমস্ত প্রজ্ঞাময় বিষয়ের ফায়সালা করা হয় আর নিশ্চয়ই আমি প্রেরণ কারী( পবিত্র সুরা দুখান শরীফ পবিত্র আয়াত শরীফ ৩,৪,৫)
পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-فيها ان يّكتب كلّ مولود مّن بنى ادم فى هذه السنة وفيها ان يّكتب كلّ هالك مّن بنى ادم فى هذه السّنة وفيها ترفع اعمالهم وفيها تترل ارزقهم- অর্থাৎ বরাতের রাত্রিতে ফায়সালা করা হয় কতজন সন্তান আগামী বছর জন্ম গ্রহণ করবে এবং কতজন সন্তান মৃত্যু বরণ করবে এ রাত্রিতে বান্দাদের আমলগুলো উপরে উঠানো হয় অর্থাৎ মহান আল্লাহপাক উনার দরবার শরীফ এ পেশ করা হয় এবঙ এ রাত্রিতে বান্দাদের রিযিকের ফায়সালা করা হয়( বায়হাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-عن حضرت علىّ كرّم الله وجهه عليه السلام قال قال رسول الله صلّى الله عليه وسلّم اذا كانت ليلة النّصف من شعبان فقوموا ليلها وصوموا يومها فانّا الله تعالى يترل فيها لغروب الشّمس الى السّماء الدّنيا فيقول الا من مستغفر فاغفرله الا مسترزق فارزقه الا مبتلى فاعافيه الا كذا الا كذا حتّى يطلع الفجر- অর্থাৎ হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্নিত তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসুল নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন শাবান মাসের ১৫ তারিখ রাত্রি অর্থাৎ বরাতের রাত্রি উপস্থিত হবে তখন তোমরা উক্ত রাত্রিতে নামায আদায় করবে, এবং দিনে রোযা রাখবে কেননা নিশ্চয়ই মহান আল্লাহপাক তিনি উক্ত রাত্রিতে সুর্যাস্তের সময় পৃথিবীর আকাশে আসেন অর্খাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন অতঃপর ঘোষনা করেন, কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো কোন রিযিক প্রার্থনা কারী আছো কি? আমি তাকে রিযিক দান করবো কোন মুছিবত গ্রস্ত ব্যাক্তি আছো কি? আমি তার মুছিবত দুর করে দিবো এভাবে ফযর পর্যন্ত ঘোষনা করতে থাকেন( ইবনে মাজাহ শরীফ, মিশকাত শরীফ)