বিতর্কিত ‘পহেলা বৈশাখ’ নিয়ে অনলাইনে তোলপাড় ॥ ৯০ ভাগ মানুষ কথিত নববর্ষ পালনের বিপক্ষে

কথিত ‘হাজার বছরের ঐতিহ্য’ পহেলা বৈশাখ পালনের এবার ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে অনলাইন সামাজিক নেটওয়ার্কে। গতকাল ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) প্রথম আলো’র ফেইসবুক পেইজে ‘পহেলা বৈশাখ প্রস্তুতি, ছবি: প্রথম আলো’ লিখিত শেয়ারকৃত রমনার বটমূলের একটি ছবির মন্তব্যে উঠে এসেছে আম জনতার এসব নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া। রমনার বটমূলে সংগীত মহড়ার ছবিটি শেয়ার করার ৬ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ মন্তব্য পড়েছে পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধে। ছবিটি প্রথমে স্টীকী করে রাখা হলেও ব্যাপক নেতিবাচক মন্তব্যের পর এটাকে স্টীকী থেকে সরিয়ে ফেলানো হয়।
এখানে প্রথম আলো পাঠকদের কতগুলো মন্তব্য প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলো-
আরিফা সুলতানা: পহেলা বৈশাখ পালন করা আর সনাতন ধর্মকে অনুসরণ করা একই কথা!!
আবদুর রহমান: পূজার প্রস্তুতি এখনো শেষ হয় নাই !
Sayed Rahman:: মুসলমান হলে এই বৈশাখকে না বলি, এইটা হিন্দুর ধর্ম।
Mahfuz Miah: জাহান্নামের প্রস্তুতি
কাব্যিক মনফড়িং: বৈশাখী ঝড়ে তুলোধুনো হয়ে যাক তরুণ-তরুণীদের নষ্টামো, ভন্ডামো।
Lamiya Liya: যে বাংলা সালের নতুন বর্ষ কাল বরণ করে নেব চলুন সংক্ষেপে তার সম্পর্কে কিছু জেনে আসি.. প্রথমেই উৎপত্তির কথায় আসা যাক। মুঘল সম্রাট আকবরের সিংহাসনে আরোহণের সাল (১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দ, ৯৬৩ হিজরী) থেকে বাংলা সাল গণনার শুরু। মূলত সেসময় চন্দ্রমাসে সাল গণনায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়ায় সৌরমাসের হিসাবে একটি সাল গণনার জন্য বাদশাহকে অনুরোধ করা হয়। তার প্রেক্ষিতেই বাংলা সালের সুচনা। কথা হলো ২০১৪-১৫৫৬=৪৯৮। যেহেতু আকবর ১৫৫৬ সালে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং সে বছর হতেই বাংলা সাল গণনার শুরু এবং এ বিষয়ে ঐতিহাসিকগণ পুরোপুরি একমত, তাহলে প্রশ্ন আসে যে ৪৯৮ বছরে কিভাবে বাংলা সাল ১৪২১ (আগামী কালের হিসাবে) হলো! আবার আকবরিয় তথা বাংলা সাল সৌর বছর, মানে ৩৬৫ দিনে বছর। তাহলে ফাকটা কোথায়? আসল কথা হলো, যে বছর বাংলা সাল গণনা শুরু হয় সেটা ছিল ৯৬৩ হিজরী। তো আকবরিয় সালে করা হলো কি, ৯৬৩ থেকেই সাল গণনা শুরু করা হলো হিজরী সালের সাথে মিলিয়ে। এখন প্রশ্ন তাহলে বাংলা সাল আর হিজরী সাল তো এক হওয়ার কথা!...
Zakir Hossain: সব বেশ্যাদের মিলন মেলা
Jui Ful: এসব পালন করা মুসলমানদের জন্য হারাম
Golam Moula: দৈত্যকার মূর্তির মহড়া ........ মঙ্গল শোভাযাত্রা আমাদের বৈশাখি উৎসবেও তা অন্যতম অংশ হয়েছে ১৯৮৯ সাল থেকে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা পয়লা বৈশাখের উৎসবের একটি অন্যতম আকর্ষণ। মঙ্গল শোভাযাত্রা কখনো বাঙ্গালী সংস্কৃতি বা বাংলা নববর্ষের অনুষঙ্গ ছিল বলে কখনো শুনিনি। আপনি দেখে বুঝবেন না, কে গণেশ কার্তিক আর কে হাসান, কে হুসাইন! কে সরস্বতী কে আয়িশাহ, ফাতেমা। নামধারী মুসলিমরা হিন্দুদের মতো কপালে সিদুর, তিলকচিহ্ন পরে, ধুতি পরে, উল্কি আঁকে..( know yourself) কারণ আমি আগে একজন মুসলিম - তারপর বাঙালী।
Anamul Anam: বাংগালি আর পাপ করিস না
Kitty Ibtida: faltu. hindu der onusthan eta
Sabbir Ahmed: নিষিদ্ধ করুন পহেলা বৈশাখ
Abdul Hamid Haider: এরা সবাই পাকি রাজাকারের অবৈধ সন্তান, যারা পহেলা বৈশাক পালন করে।
Rafsan Sunan: হারাম পহেলা বইশাখ কে না বলুন। ঈমান আমল হিফাজত করুন।
Humayun Kobir Kobir: হিন্দু উৎসব
Fazlu Rahman: Pohela bohesak jara palon kore tara murkho
আমি লাভ গুরু বলছি: পহেলা বৈশাখ গজবের দিন মুসলমান এটা থেকে ১০০ হাত দুরে থাকুন
Md Farid: পহেলা বৈশাকের এ সব ভন্ডা আমি ঘৃনা করি
শরীফ বিন সাত্তার: পহেলা বৈশাখ প্রস্তুতি নাকি পহেলা বৈশাখ নামে ধর্ষণের প্রস্তুতি?
Bahadur Chowdhury: Akhane jaroj santan der melon mela
Md Shabuj: মুসলিম নামের অমুসলিমদের কাল বৈশাখী পূজা। আল্লাহ আপনি সবাইকে হেদায়েত দান করুন।
Humayun Kabir: Keno je manus aje baje moja kore. .falto sob
Mohammad Fuad Hasan Chowdhury: This is not right for muslim pepole its haram
Joynal Abedin: পহেলা বৈশাখ মুসলমানদের জন্য হারাম;এইটা হিন্দুদের পুজা
Ahmed Asourove:: যতসব নোংরামি
Faisal Ahmed: বৈশাখি পূজা করতে হলে মন্দিরে যাও বা ভারতে যাও। এখানে মালুদের কোনো স্থান নেই।
Jafor Sadiq: Ei pic jadir dekcen..meyara holo potita r cilera holo koriddar..sabdan a dir kac tike dore takun..Allah amadir k a sob haram kaj tik rokka kuron এছাড়াও পাঠক পহেলা বৈশাখে নিজেদের লাঞ্চিত হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা শোয়ার করে পহেলা বৈশাখের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। এই উৎসবের উৎপত্তি, ইতিহাস, ধর্মীয় বিধিনিষেধ, নারীর নিরাপত্তা, অশ্লীলতা ইত্যাদি বাস্তবতাগুলো উঠে এসেছে বিতর্কে। কেউ ইতিহাস তুলে ধরে এ উৎসবকে ‘হাজার বছরের ঐতিহ্য’-এ প্রচারণাকে মিথ্যা প্রমাণিত করেছেন, কেউ এটাকে ‘বাঙালি উৎসব নয় বরং হিন্দুয়ানী উৎসব’ বলে প্রমাণ করেছেন, কেউ ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম ও শিরকী বলে প্রমাণ করেছেন। মন্তব্যে অনেকে পহেলা বৈশাখ নিষিদ্ধ ঘোষণারও দাবি তুলেছেন।
পহেলা বৈশাখ নিয়ে যতো প্রচারণা তার সবই কেবল ভারতীয় র’ নিয়ন্ত্রিত দালাল গণমাধ্যমের। প্রকৃতপক্ষে খুব অল্পসংখ্যক লোকই পহেলা বৈশাখকে মনে প্রাণে পালন করে। সেই অল্পসংখ্যক লোক যখন একত্রিত হয় তখন সেই সমাবেশকে মনে হয় বিশাল জনসমুদ্র।