পহেলা বৈশাখ যেভাবে পালিত হয় পত্রিকার পাতা থেকে তার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র নিচে তুলে ধরা হলো:
“ভোরে রমনার বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে শুরু হয় বর্ষবরণের পর্ব। দীর্ঘকাল ধরে ছায়ানট এ অনুষ্ঠানটি করে আসছে। পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের অনুষ্ঠান এখন অচ্ছেদ্য অঙ্গ। সকাল থেকেই নগরবাসীর সব পথ এসে মিলতে থাকে রমনায়। একই সঙ্গে রবীন্দ্র সরোবরসহ বিভিন্ন স্থানেও হয় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান।
ছায়ানটের অনুষ্ঠানের পর নগরবাসীকে সবচেয়ে টানে চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা। সকাল ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে শুরু হয় মঙ্গল শোভযাত্রা। বাঘ, সিংহ, পেঁচা, বানর, কুমির, সাপসহ বিশাল বিশাল সব প্রতিকৃতি ও মুখোশ নিয়ে হয় সে কথিত শোভাযাত্রা।
রমনা পার্কে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এর আশপাশ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিভিন্ন সংগঠনের অনুষ্ঠান ও মেলা চলে প্রায় দিনভর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতেও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের দিনব্যাপী অনুষ্ঠান চলে।
চারুকলা থেকে আটটার সময় বের করা হয় মঙ্গল শোভা যাত্রা। কথিত মঙ্গলের আহ্বান এবং অশুভকে পরাজিত করার শপথ নিয়ে মানুষরা এ মঙ্গল শোভা যাত্রায় অংশ নেয়। লক্ষী পেঁচা, কচ্ছপ, বাঘ, হাতি, লক্ষ্মীর সরা আর হাতপাখার নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে পুরো রমনা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে মিছিল।
বেসরকারি শান্তুমারিয়ম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির শিক্ষার্থীরাও কুমির, বাঘ, পেঁচা, পিঁপড়া এবং ব্যাঙ এর প্রতিকৃতি আর মুখোশ নিয়ে বর্ণিল শোভাযাত্রা বের করে ধানমন্ডি এলাকায়।
রবীন্দ্র সরোবরকে কেন্দ্র করে ধানমিন্ডর পুরো লেকের দুই পাড় জুড়ে নিয়মিত বিরতিতে বা বিরতিহীন চলে গান, বাউল সঙ্গীত, পুতুল নাচ।”
সম্মানিত মুসলমান পাঠক! কোন মুসলমানকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়- উপরের কোন কাজটি দ্বীন ইসলামের অনুষঙ্গ। কোন কাজটি আল্লাহ পাক ও নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পছন্দনীয়?
এটা নিশ্চিৎ করেই বলা যায় যে, ইসলাম সম্পর্কে যে লোকটি একেবারে যৎকিঞ্চিৎও জানে সেও নির্দিধায় বলবে- একটি কাজও ইসলাম সম্মত নয় এবং আল্লাহ পাক ও নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পছন্দনীয় নয়।
যদি তাই হয়, তাহলে কেন মুসলমানরা হিন্দু, বৌদ্ধ, অগ্নি উপাসক তথা বিধর্মী বিজাতীয়দের সংস্কৃতি পহেলা বৈশাখ পালন করবে আর কেনইবা তারা এই বিজাতীয় সংস্কৃতি পালন করতে গিয়ে হাজারো হারাম আমলে নিজেকে সম্পৃক্ত করবে? কাজেই প্রতিটি মুসলমানেরই বিষয়টি চিন্তা করা এবং এর থেকে ফিরে নিজের ঈমান, আমল হিফাযতে সচেতন হওয়া দায়িত্ব-কর্তব্য।