আজ যারা পহেলা বৈশাখ পালন করবে তারা কুফরী করবে.কারণ, প্রকৃতপক্ষে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান হচ্ছে হিন্দু মুশরিক ও মজুসীদের!!

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম।’
আর বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ মানুষের দ্বীন হচ্ছে ইসলাম; তাই বাংলাদেশ সংবিধানের ২ নম্বর ধারায় বর্ণিত রাষ্ট্রদ্বীন হচ্ছে ইসলাম।
তাহলে বাংলাদেশে কী করে বিজাতীয় সংস্কৃতি পহেলা বৈশাখসহ সর্বপ্রকার ইসলামবিরোধী কাজ গ্রহণযোগ্য হতে পারে?
কারণ, প্রকৃতপক্ষে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান হচ্ছে হিন্দু মুশরিক ও মজুসীদের।
এতে তারা পান্তা-গান্ধা খায়, গানবাজনা করে, র‌্যালী করে, জীব-জানোয়ারের মুখোশ পরে, মিছিল করে, ডুগডুগি বাজিয়ে নেচে নেচে হৈহুল্লোড় করে, পুরুষরা ধুতি ও কোণাকাটা পাঞ্জাবী যা হিন্দুদের জাতীয় পোশাক তা পরে, মেয়েরা লাল পেড়ে সাদা শাড়িসহ হাতে রাখি বাঁধে, শাঁখা পরে, কপালে লাল টিপ ও চন্দন এবং সিথিতে সিঁদুর দেয়, বেপর্দা, বেহায়া হয়- যা ইসলামী শরীয়তে সম্পূর্ণ হারাম ও কুফরী।
অতএব, সংবিধান অনুযায়ী সরকারের দায়িত্ব হলো- পহেলা বৈশাখসহ সকল ইসলামবিরোধী কাজ বন্ধ করে দেয়া এবং এ থেকে মুসলমানদের বিরত রাখা।
ইসলাম হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক, উনার তরফ থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ওহীর মাধ্যমে নাযিলকৃত, একমাত্র পরিপূর্ণ, সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত, নিয়ামতপূর্ণ, অপরিবর্তনীয় ও মনোনীত দ্বীন; যা ক্বিয়ামত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। যে প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি “সূরা আলে ইমরান”-এর ১৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এ বলেন, “নিশ্চয়ই ইসলামই মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে একমাত্র দ্বীন।” তাহলে বাংলাদেশে কী করে বিজাতীয় সংস্কৃতি পহেলা বৈশাখসহ সর্বপ্রকার ইসলামবিরোধী কাজ গ্রহণযোগ্য হতে পারে? উল্লেখ্য, প্রকৃতপক্ষে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান হচ্ছে হিন্দু মুশরিকদের ঘট পূজা, বৌদ্ধদের উল্কি অঙ্কন আর মজুসীদের নওরোজ পালনের অনুষ্ঠান।
এছাড়া নওরোজ বা নববর্ষ পালন উপলক্ষে পান্তা-গান্ধা খায়, গানবাজনা করে, র‌্যালী করে, জীব-জানোয়ারের মুখোশ পরে, মিছিল করে, ডুগডুগি বাজিয়ে নেচে নেচে হৈহুল্লোড় করে, পুরুষরা ধুতি ও কোণাকাটা পাঞ্জাবী যা হিন্দুদের জাতীয় পোশাক তা পরে, মেয়েরা লাল পেড়ে সাদা শাড়িসহ হাতে রাখি বাঁধে, শাঁখা পরে, কপালে লাল টিপ ও চন্দন এবং সিথিতে সিঁদুর দেয়, বেপর্দা, বেহায়া হয়- যা ইসলামী শরীয়তে সম্পূর্ণ হারাম ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
বিজাতীয় ও বেদ্বীনি সংস্কৃতি পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ইসলাম ও সংবিধানের নির্দেশনা সম্পর্কে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
, সংবিধানের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। সে প্রেক্ষিতে দেশে ইংরেজি ভাষাসহ বিভিন্ন উপজাতীয় ভাষার ঊর্ধ্বে যেমন রাষ্ট্রভাষা বাংলার মর্যাদা ও প্রাধান্য তেমনি ৯৭% মুসলমান হওয়ার কারণে সংবিধানের ২ নম্বর ধারায় বর্ণিত রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম হয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য ধর্ম ও ধর্মাবলম্বীর উপরে ইসলাম ও মুসলমানের মর্যাদা ও প্রাধান্য স্বীকৃত হতে হবে এবং ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাও অনেক বেশি হতে হবে। যা মূলত প্রচলিত সংবিধানেরই ব্যাখ্যা।
, মূলকথা হলো- বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ মানুষের দ্বীন হচ্ছে ইসলাম; তাই বাংলাদেশ সংবিধানের ২ নম্বর ধারায় বর্ণিত রাষ্ট্রদ্বীন হচ্ছে ইসলাম। তাহলে বাংলাদেশে কী করে বিজাতীয় সংস্কৃতি পহেলা বৈশাখসহ সর্বপ্রকার ইসলাম বিরোধী কাজ গ্রহণযোগ্য হতে পারে? স্মরণীয় যে, কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী পহেলা বৈশাখ পালন করা কাট্টা হারাম, নাজায়িয ও কুফরী। কারণ ইসলামী শরীয়তে মুসলমানগণের জন্য বিধর্মীদের অনুসরণ করা সম্পূর্ণ হারাম। উল্লেখ্য, প্রকৃতপক্ষে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান হচ্ছে হিন্দু মুশরিকদের ঘট পূজা, বৌদ্ধদের উল্কি অঙ্কন আর মজুসীদের নওরোজ পালনের অনুষ্ঠান। তাহলে মুসলমানগণ কী করে পহেলা বৈশাখ পালন করতে পারে। অতএব, ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলামের দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সরকারিভাবে পহেলা বৈশাখসহ সকল ইসলামবিরোধী কাজ বন্ধ করে দেয়া এবং সরকারিভাবেই পহেলা বৈশাখসহ সকল ইসলামবিরোধী কাজ থেকে মুসলমানদের বিরত রাখা। অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে, মুসলমানদেরকে ইসলাম পালনে ও ঈমান হিফাযতে অর্থাৎ ইসলামের উপর ইস্তিক্বামত থাকার ব্যাপারে সর্বোতভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করা।