এ প্রসঙ্গে সরাসরি সাংবাদিক সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালের লিখাটাই কপি করছি;। সে লিখেছে- “১৯৮৩ সাল। চৈত্রের শেষ। চারিদিকে বৈশাখের আয়োজন চলছে। আমরা আড্ডা দিতে পান্তা-ইলিশের কথা তুলি। বোরহান ভাই রমনা বটমূলে পান্তা-ইলিশ চালুর প্রস্তাব দিলেন, আমি সমর্থন দিলাম। ফারুক মাহমুদ পুরো আয়োজনের ব্যবস্থা করলেন। সম্ভবত ৫ টাকা করে চাঁদা ধরলেন। বাজার করা আর রান্না-বান্নার দায়িত্ব দিলেন বিপ্লব পত্রিকার পিয়নকে। রাতে ভাত রেঁধে পান্তা তৈরি করে, কাঁচামরিচ-শুকনো মরিচ, পেঁয়াজ, ইলিশ ভাজা নিয়ে পর দিন ‘এসো হে বৈশাখে’র আগেই ভোরে আমরা হাজির হলাম বটমূলের রমনা রেস্টুরেন্টের সামনে। মুহূর্তের মধ্যে শেষ হলো পান্তা-ইলিশ। এভাবে যাত্রা শুরু হলো পান্তা ইলিশের।
অপরদিকে (সম্ভবতঃ একই বছর বা পরের বছর) শহিদুল হক খানও এই প্রক্রিয়ার সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়। সে দাবি করেছে, ‘নিজ হাতে পান্তার পোস্টার লিখেছে, তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ ভাত রেঁধেছে, ইলিশ মাছ ভেজেছে, কাঁচামরিচ পেঁয়াজ কেটেছে, মাটির সানকি সংগ্রহ করেছে।’ (আমাদের সময়: ৯ অক্টোবর ২০০৯ ঈসায়ী)। এবং তারা এ নিয়ে বিটিভি’তে সাক্ষাৎকারও দিয়েছে! তবে রমনা বটমূলের পান্তা-ইলিশের উদ্যোক্তার কৃতিত্ব এককভাবে কেউ নয়। কম্যুনিস্ট সিকদার আমিনুল হক, সহকারী সম্পাদক ফারুক মাহমুদ, দেশের সাহিত্য সম্পাদক হেলাল হাফিজ, সাংবাদিক মাহবুব হাসান, শহিদুল হক খান, মুন্সী আবদুল মান্নান, রোজি ফেরদৌস প্রমুখ যাদের নাম উল্লেখ করলাম, তারা সকলেই নানাভাবে কমবেশি যুক্ত ছিলো।” (সূত্র- http://arts.bdnews24.com/?p=3597)
সুতরাং এই পান্তা ইলিশ ও যে মাত্র ৩৩ বছর আগের কাহিনী তাও প্রমাল হোলো, এর পিছনের পুরোটাই ছিল ব্যবসায়িক চিন্তা-ভাবনা তথা র-এর প্রেসক্রিপশনে পরিচালিত দীর্ঘমেয়াদি চক্রান্ত!