এসব কি আমাদের সংস্কৃতি ?


উদ্দাম নৃত্য, যাত্রাপালা, শাঁখা-সিঁদুরের রংয়ে (সাদা ও লাল) পোশাক, বিয়ের মিথ্যা সাজে দম্পতি সাজিয়ে বর-কনের শোভাযাত্রা, অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা, দৃষ্টিকটূ আচরণ, মূর্তির (কুমির, পেঁচা, বাঘ ইত্যাদির মুখোশ) প্রদর্শনী, উল্কি আঁকাঁ, মঙ্গল শোভাযাত্রা ইত্যাদি কি বাংলার আপামর জনতার সংস্কৃতি? এই ধার করা সংস্কৃতিচর্চা করতে গিয়ে শুধু ঢাবি ক্যাম্পাসে গত বছর সাংবাদিকসহ ১৬ জন তরুণী লাঞ্ছিত হয়েছে, যা পত্রিকায় (নয়া দিগন্ত, ১৬.৪.১১) প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ সব ঘটনা সংকলন সম্ভব নয় ।
এদিনে তারা(ছেলে মেয়ের বিবেধ ভুলে) নৈতিকতার সকল বাঁধ ভেঙ্গে দিয়ে অশ্লীল কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়, আর এই কর্মকান্ডের অবধারিত রূপ হচ্ছে মদ্যপান ও ব্যভিচার।
পহেলা বৈশাখ উদযাপনের নামে নারী পুরুষের সম্মিলিত নাচ-গান, রং ছিটানো, গান-বাজনা করে, রেলী করে, জীব-জানোয়ারের মুখোশ পরে, মিছিল করে, শরীরের নানা অঙ্গ-প্রতঙ্গে উল্কি আঁকে, ডুগডুগি বাজিয়ে নেচে নেচে হৈহুল্লোড় করে,পুরুষরা ধুতি ও কোণাকাটা পাঞ্জাবী যা হিন্দুদের জাতীয় পোশাক তা পরে, মেয়েরা লাল পেড়ে সাদা শাড়িসহ হাতে রাখি বাঁধে, শাঁখা পরে, কপালে লাল টিপ ও চন্দন এবং সিথিতে সিঁদুর দেয়, বেপর্দা, বেহায়া হয়- যা সম্মমানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম ও কুফরী।
যে সংস্কৃতির মধ্যে এতগুলো ইসলাম বিরুধী কর্ম। সেই সংস্কৃতি পালন করা কখনো একজন মুসলমানের পক্ষে সম্ভব না