‘সূরা আলে ইমরান’-এর ৮৫ নম্বর আয়াত শরীফ মহান আল্লাহ পাক বলেন, “যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্ম (বিধর্মী ও বিজাতীয়দের নিয়ম-নীতি ও তর্জ-তরীক্বা) তলব বা অনুসরণ ও অনুকরণ করে, তার থেকে তা কখনই গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে (অবশ্যই) ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।”
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।” (সুনানে আহমদ, সুনানে আবূ দাউদ)
এবার চিন্তা করে দেখুন ইহা পালন করলে কি পরিনতি হবে ?
কোন এলাকা বা দেশে হারাম কাজ হলে প্রতিবাদ করতে হয়, নয়ত পুরো এলাকার জন্য গজব নেমে আসে। মূলত: প্রকৃত ঈমানদারের লক্ষণ হচ্ছে সে হারাম কাজের প্রতিবাদ করবে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন:
১) “তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের(কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজেরআদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।" (সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০)
২) “তোমাদের মধ্যে এমন একটি সম্প্রদায় হওয়া জরুরী, যারা (মানুষকে) কল্যাণ-এর (কুরআন-সুন্নাহ তথা ইসলামের) দিকে ডাকবে এবং সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করবে, আর তারাই মূলতঃ কামিয়াব।” (সূরা আল ইমরান ১০৪)
মূলতঃ কথিত পহেলা বৈশাখ নামক নামক হারাম কাজের লিপ্ত হয়ে ঐ দিন কোটি কোটি মানুষ কুফরী-শিরকী করে মুরতাদ হয়ে যাবে। ফলে এদের জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত হবে। তাহলে একজন মুসলমান হিসেবে এদেরকে নিষেধ করা কি আমাদের ঈমানী দায়িত্ব নয়?? অবশ্যই, এটা আমাদের জন্য ফরজ।
তাই যেটা করতে পারেন:
১) নিজের আত্মীয় স্বজন, এলাকাবাসী, বন্ধু-বান্ধবকে পহেলা বৈশাখের হারাম থেকে সচেতন করুন।
২) লিঙ্কের লেখাগুলো প্রিন্ট দিয়ে ফটোকপি করে সবার মাঝে, যেমন: মসজিদ, বাজার, স্কুল, প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছড়াতে পারেন।
ক) https://www.facebook.com/photo.php?fbid=483454711783974&set=a.242951882500926.58017.100003583482736&type=1&stream_ref=10)
খ) https://www.facebook.com/photo.php?fbid=485050934957685&set=a.242951882500926.58017.100003583482736&type=1&stream_ref=10
৩) মসজিদের ঈমাম সাহেবের সাথে কথা বলে পুরো এলাকাবাসীকে হারাম পহেলা বৈশাখ থেকে বিরত থাকতে ঘোষণা দিতে পারেন।
৪) সবাইকে বলুন, আমরা আগে মুসলমান, এরপর বাঙালী। আমাদের ধর্মের বিরুদ্ধে যায় এমন কোন সংস্কৃতি আমরা পালন করতে পানি না।
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে বলেছিলেন: “আপনার দ্বারা যদি একজন মানুষও হিদায়েত পায়, তবে আসমান-জমিন যদি পূর্ণ করা হয় তার থেকেও অধিক ফজিলত আপনি পাবেন। (সুবহানাল্লাহ)
তাই আপনার দ্বারা যদি একজন মানুষও পহেলা বৈশাখ নামক কুফরী কাজ থেকে বিরত থাকে তবে আসমান ও জমিনে পূর্ণকৃত ফজিলত থেকেও অধিক ফজিলত আপনি লাভ করবেন। ইনশাআল্লাহ।