পহেলা বৈশাখ বা পহেলা জানুয়ারি নয়, পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররমুল হারাম শরীফ পালনেই রয়েছে নব উদ্যমে, নব চেতনায় নব সূচনায় পরিশুদ্ধতার সুযোগ

বারোটি চন্দ্র মাসের সমাবর্তনে নতুন হিজরী সনের আবির্ভাব। পবিত্র মুহররম শরীফ হিজরী সনের নতুন মাস। দশই মুহররম পবিত্র আশূরা শরীফ। তবে পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দাবি পহেলা বৈশাখ বা পহেলা জানুয়ারির মতো নয়। কেননা পবিত্র দ্বীন ইসলাম নওরোজ বা নববর্ষের উৎসব স্বীকার করে না। উল্লেখ্য, খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ অব্দে জুলিয়াস সিজার সর্বপ্রথম ইংরেজি নববর্ষ উৎসবের প্রচলন করে। সেই থেকে ইংরেজি নববর্ষ ইংরেজ তথা খ্রিস্টান বিশ্বের এক মহোৎসবের উৎস। অপরদিকে বাদশাহ আকবর পারসিক রীতি অনুকরণে ফসলী সনের প্রবর্তন করে, যা বাংলা সাল হিসেবে মশহুর, যা অশুদ্ধ। এর দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, পহেলা বৈশাখ বা পহেলা জানুয়ারির সাথে মুসলমানগণ উনাদের কোনো যোগাযোগ নেই। মূলত, ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে থার্টি ফার্স্ট নাইট কালচার তথা পহেলা জানুয়ারি নৃত্য গীত আর বিয়ারের হৈ হুল্লোড় এবং পহেলা বৈশাখের উল্কি কালচার, জন্তুর মুখোশের র‌্যালী, সিঁদুর ব্যবহার, পান্তা সমাচার ইত্যাদি নামে বিধর্মীদের অপসংস্কৃতি এবং হিন্দুয়ানী সংস্কৃতির অনুশীলন ঘটাচ্ছে; যা গভীরভাবে নিন্দার্হ ও বর্জনীয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, যে দিনটিতে পৃথিবী সৃষ্টি, প্রথম বৃষ্টি বর্ষণ, প্রথম রহমত নাযিল হয় যে দিন ভালো খানা খেলে সারা বছর সচ্ছল থাকা যায় ইত্যাদি হাজারো গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ও আমলের সমাবেশে সমৃদ্ধ, সেই পবিত্র দিনটি সম্পর্কে আলোচনা, পর্যালোচনা ও তার প্রতিফলনের প্রচেষ্টার কোনো পদক্ষেপই লক্ষ্য করা যায় না। রাষ্ট্রীয়ভাবে তো নয়ই, সমাজ জীবনেও মুসলমানগণ উনাদের মসজিদসমূহে দিবসটি উপলক্ষে কাঙ্খিত উৎসাহ পরিলক্ষিত হয় না। স্মর্তব্য যে, সম্মানিত, তাৎপর্যপূর্ণ, ফযীলতযুক্ত ও ঐতিহ্যবাহী দশই মুহররম বা পবিত্র আশূরা শরীফ যেমন সচেতন মুসলমানগণ উনাদের জন্য রয়েছে বিগত বছরের সার্বিক আমলের হিসাবের অবকাশ, তেমনি রয়েছে পরিশুদ্ধ চেতনায় আগামী বছর অতিবাহিত করার দীপ্ত অভিপ্রায়ের ও নব চেতনার প্রয়াস।