যারা ইতিহাস নিয়ে গন্ডমুর্খ তারাই পহেলা বৈশাখকে বাংগালী সংস্কৃতি ও হাজার বছরের সংস্কৃতিও মনে করে ।



ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত বর্তমানে প্রচলিত বাংলা সন প্রকৃতপক্ষে মোগল বাদশাহ আকবর কর্তৃক প্রবর্তিত ফসলী সনের আধুনিক রূপ।
বাদশাহ আকবর নিজে বাঙালি বা বাংলাদেশী বা তার মাতৃভাষা বাংলা ছিলো না। তাহলে কি করে বর্তমানে প্রচলিত ফসলী সন তথা বাংলা সন বাঙালিদের সন ও হাজার বছরের ঐতিহ্য হতে পারে? ফসলী সন তথা বাংলা সন গণনা শুরু হয় ৯৬৩ হিজরীতে। আর উদ্ভব ঘটে ৯৯৩ হিজরীতে। যা ৫০০ বছরও অতিবাহিত হয়নি। অতএব, মুসলমানদের বেশি বেশি পড়াশোনা করে জ্ঞান অর্জন করা উচিত।”
সিরাজী সামাজিক ক্ষেত্রে ও ফসলের মৌসুমের দিকে লক্ষ্য রেখে খাজনা আদায়ের সুবিধার্থের নামে হিজরী সনের পরিবর্তে ঋতুভিত্তিক সৌর সনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে তখনকার প্রচলিত হিজরী সনকে ‘ফসলী সন’ হিসেবে চালু করে। পরবর্তীতে সে ফসলী সন বাংলা সনে রূপান্তরিত হয়। এতদ্বসংক্রান্ত বাদশাহ আকবরের নির্দেশনামা জারি হয় ৯৯৩ হিজরী, ৮ই রবীউল আউয়াল শরীফ মোতাবেক ১০ মার্চ ১৫৮৫ খ্রিস্টাব্দ এবং তা কার্যকর করা হয় সম্রাটের সিংহাসন আরোহণের স্মারক বর্ষ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক হিজরী ৯৬৩ চন্দ্র সনকে ৯৬৩ বাংলা সৌর সনে রূপান্তরিত করার মধ্য দিয়ে।
বাদশাহ আকবর এদেশীয় বাঙালি ছিলো না বা বাংলাভাষীও ছিলো না এমনকি বাংলাদেশীও ছিলো না । সে ছিলো সাম্রাজ্যবাদী ও মোগল বংশোদ্ভূত।
পহেলা বৈশাখ পরবর্তীতে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবধারার সাথে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত হয়। অর্থাৎ হিন্দুরা ফসলী সন তথা বাংলা সনকে হিন্দুয়ানী সন হিসেবে গ্রহণ করে তাদের পুজাগুলিকে ফসলী সনের সাথে সংযুক্ত করে নেয়। যে কারণে তারা পহেলা বৈশাখের আগের দিন চৈত্র সংক্রান্তি পালন করে।
মুসলমানদের পহেলা বৈশাখের নামে সব পাপাচার থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি মুসলমানকে ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ, বোমা হামলাসহ সব ধরনের নাশকতা থেকেও বিরত থাকতে হবে। কারণ, এগুলোও ইসলামের দৃষ্টিতে শক্ত ও কঠিন হারাম।