অনেকে প্রশ্ন করেছিলো, বছরের প্রথম দিন ইলিশ মাছ খাওয়া ঠিক হবে কি না?? মানে, কেউ পহেলা বৈশাখ পালন করলো না, কিন্তু ইলিশ রাধলো, সেটা ঠিক হবে কি না??
আমি এর সঠিক উত্তর খুজতে গিয়ে একটু চিন্তু করেছি। পবিত্র কুরআন-হাদীস থেকে ঘেটে যেটা দেখলাম:
১) ইসলাম ধর্মে হাস-মুরগী আল্লাহ’র নামে জবাই করা জায়িজ। কিন্তু কুরবানী ঈদের দিন সুবহে সাদিক থেকে ১২ই জিলহজ্জ সূর্যাস্ত পর্যস্ত (যে সময়টুকুতে কুরবানী করা যায়) হাস-মুরগী জবাই করতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ ঐ সময় মজুসী (অগ্নি উপাসক)-দের একটা রসম হচ্ছে দুই পায়ের (হাস-মুরগী) যন্তুসমূহ জবাই করা। এখানে উল্লেখ্য, মজুসীরা তাদের দেব-দেবীর নামে জবাই করে, কিন্তু আমরা আল্লাহ নামে জবাই করি। কিন্তু তারপরও মজুসীদের সাথে মিল হওয়ার কারণে ঐ সময় জবাই করতে নিষেধ করা হয়েছে।
২) ইসলামে রোজা রাখা জায়িজ এবং ফজিলতের কারণ। কিন্তু হাদীস শরীফে আশুরা (১০ মুহররম) উপলক্ষে ১টি রোজা রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, রাখতে বলা হয়েছে ২টি রোজা। এর কারণ, ঐদিন ইহুদীরা ১টা রোজা রাখে, তাই ইহুদীদের সাদৃশ্য না রেখে ঐদিনের আগে বা পরে মিলিয়ে দুইটা রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন নবীজি।
এবার আপনারাই বলুন, বিজাতীয় অনুষ্ঠান ১লা বৈশাখে যে ইলিশ খাওয়ার রসম চালু হয়েছে, সেটার সাথে মিল রেখে ঐ দিন ইলিশ খাওয়াটা ঠিক হবে কি না??