ব্রিটিশরা কমনওয়েলথ প্রতিষ্ঠা করেছে খুব কায়দা করে। ব্রিটিশদের উপনিবেশ ভেঙ্গে গেলেও শত বছর পর তারা বলতে পারবে, ‘এই কমনওলেথ সদস্যগুলোকে এক সময় আমরা শাসন করেছি।’
ভারত উপমহাদেশে এক সময় হিন্দুদের উপস্থিতি ছিল। তবে সেখানে আরব থেকে ওলী আল্লাহগণও এসেছেন, স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন। আরও বিভিন্ন মুসলিম জাতিরও সংমিশ্রন আছে। এমনকি ইসলামের প্রাথমিক যুগে সাহাবীগণ এসেছেন বলেও প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে হিন্দুরা একক ভাবে ক্রেডিট নিয়ে দাবি করে, ‘বাঙালী জাতি হিন্দু জাতি থেকে আগত’।
বাঙালীরা হিন্দু থেকে এসেছে না মুসলমান থেকে এসেছে সেই তর্কে আমি যাব না। তবে কোন হিন্দু যদি মুসলমান হয়েই (খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী রহমতুল্লাহি ভারত উপমহাদেশে ১ কোটি হিন্দুকে মুসলমানে ধর্মান্তরিত করেন) থাকে তবে সে অবশ্যই তার মূর্তিকে ছুড়ে ফেলেই এসেছে, এটাই সত্য।
কিন্তু, কায়দা করে হাজার বছরের সংস্কৃতির নামে হিন্দুয়ানি করা হয়, তবে অবশ্যই এটা কূটকৌশল বৈ অন্য কিছু নয়।
নওরোজ, যান্তব মুখোশ, মঙ্গলযাত্রা, লালপেড়ে শাড়ি-চুড়ি, চৈত্র সংক্রান্তির ভাত পরের দিন পান্তা গান্ধা করে খাওয়া, ঢোল-ডুগি বাদ্য, উল্কি আকা ইত্যাদি করে যদি প্রচার করা হয়, এগুলো হাজার বছরের বাঙালী সংস্কৃতি, তবে এটা মেনে নিতেই হবে, এটা দিয়ে একটি গোষ্ঠী বাঙালীকে স্মরণ করাতে চায় যে, তোমাদের পূর্ব পুরুষ হিন্দু ছিল এবং তোমরা হিন্দুর জাত।
ডারউইনের তত্ত্ব পড়ে যেমন আতেলরা বলে, “আমার বাপ-দাদা বানর ছিল, তেমনি পহেলা বৈশাখ পালন করে এখন বোধহীন বাঙালী মুসলমানরা বুক ফুলিয়ে বোঝাতে চায়, “আমার বাপ-দাদারা সব হিন্দু ছিল, আমরা হিন্দুর জাত।”