Loading...

পবিএ শবে বরাত রাত্রিতে কবর যিয়ারত করা খাস সুন্নতে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অন্তর্ভূক্ত

অর্ধ শাবানের রাতটিকে বিভিন্ন নামে নাম করণ করা হয়েছে, তান্মধ্যে একটি হচ্ছে,
লাইলাতুল যিয়ারাতি অর্থ্যাৎ কবর যিয়ারতের রাত।

মূলতঃ অর্ধ শাবান রাতে কবর যিয়ারত করা খাস সুন্নতে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অন্তর্ভূক্ত।
এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে আছে,
হযরত আয়েশা সিদ্দীকা আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত।


তিনি বলেন, আমি হযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কোন এক রাএিতে রাএিযাপন করছিলাম। একসময় উনাকে বিছানায় না পেয়ে আমি মনে করলাম যে, তিনি হয়ত অন্য কোন উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ নিয়েছেন।

অতঃপর আমি তালাশ করে উনাকে জান্নাতুল বাক্বীতে পেলাম।সেখানে তিনি উম্মতের জন্য আল্লাহপাক উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছেন।এ অবস্থা দেখে আমি স্বীয় হুজরা শরীফ-এ ফিরে আসলে তিনিও ফিরে এসে আমাকে বললেন,
আপনি কি মনে করেছেন, আল্লাহপাক ও উনার রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আপনার সাথে আমানতের খিলাফ করেছেন!

আমি বললাম , ইয়া রসূলাল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আমি ধারণা করেছিলাম যে, আপনি হয়ত অপর কোন উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার হুজরা শরীফ তাশরীফ নিয়েছেন।

অতঃপর হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন,
নিশ্চয়ই আল্লাহপাক তিনি শা’বানের ১৫ তারিখ রাএিতে পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন।
অর্থ্যাৎ রহমতে খাস নাযিল করেন।অতঃপর তিনি বনী ক্বালবের মেষের গায়ে যত পশম রয়েছে তার চেয়ে অধিক সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে থাকেন”।
(সুবহানআল্লাহ্)

(তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাজাহ, রযীন , মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ, লুময়াত শরীফ, আশয়াতুল লুময়াত)