Loading...

আরবী ভাষাকে মুহব্বত করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয

খলিক্ব মালিক রব যিনি আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম নবী এবং রসূল হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করে মানব সম্প্রদায়ের জন্য মুয়াল্লিম হিসেবে প্রেরণ করেছিলেন। সর্বপ্রকার ইলম এবং ভাষা দিয়ে উনাকে পাঠিয়েছিলেন বিধায় উনারই ধারাবাহিকতায় আমরা দেখতে পাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভাষা ভিন্ন ভিন্ন; এমনকি একই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষার মধ্যেও পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
এক্ষেত্রে কুল-কায়িনাতের জন্য উত্তম আদর্শ হচ্ছেন আখিরী রসূল, খাতামুন নাবিইয়ীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন, “তোমরা আরবী ভাষাকে মুহব্বত করো তিনটি কারণে- আমি স্বয়ং আরবী, কুরআন শরীফ উনার ভাষা আরবী এবং জান্নাতের ভাষা হবে আরবী।”

 সেই ক্ষেত্রে আরবী ভাষাকে মুহব্বত করা সকল মুসলমানের জন্য অবশ্য কর্তব্য। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমে আমরা জানতে পাই যে, পবিত্র কুরআন শরীফ সাত প্রকার হুরুফ তথা ভাষায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যেহেতু মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মাতৃভাষায় কথা বলেছেন এবং সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা স্বস্ব ভাষায় কথা বলেছেন সেক্ষেত্রে মাতৃভাষাটা ব্যবহার করাও সকলের জন্য সুন্নত আদায়েরই নামান্তর। সুবহানাল্লাহ!

তবে আমাদের স্মরণ রাখতে হবে- নামাযে, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতে এবং বিশেষ বিশেষ স্থানে আরবী ভাষার ব্যবহার খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।

আরো একটি বিষয় লক্ষণীয়, বহুপূর্ব থেকেই আমরা দেখে আসছি বিভিন্ন ভাষার মধ্যে মিশ্র ভাষার ব্যবহার স্বাভাবিকভাবেই চলে এসেছে- কথা বলার স্বাচ্ছন্দ্য বোধের কারণে। যেমন সার্ট, প্যান্ট, প্লেট, মগ, জগ, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি। এখানে ইংরেজি ভাষার ব্যাপক প্রচলন লক্ষ্য করা যায়। এতেও দোষের কিছু নেই। এটাও জায়িয রয়েছে। তবে মুহব্বত করতে হবে আরবী ভাষাকে। মুহব্বতের বহিঃপ্রকাশ অবশ্যই ঘটাতে হবে শিক্ষার মাধ্যম দিয়ে এবং প্রচার প্রসারের মাধ্যম দিয়ে মুসলমানকে উৎসাহিত করতে হবে। সাধারণ ভাষা জ্ঞানে অজ্ঞ থাকার কারণে মুসলমানকে সহজেই ধোঁকা দিয়ে তাদের আমল থেকে সরিয়ে দিচ্ছে কাফির-মুশরিকের দল। যেমন বলা যায়, শবে বরাত শব্দটি ফার্সী। তদ্রুপ নামায বা রোযা- এগুলোও কিন্তু আরবী শব্দ নয়। শবে বরাত শব্দের অর্থ- ভাগ্য রজনী। এর হাজারো নাম রয়েছে আরবীতে। সঠিক ইলম না থাকার কারণে আজ অধিকাংশ মুসলমান এ রাত্রির ফাযায়িল, ফযীলত, রহমত, বরকত থেকে বঞ্চিত। আসলে ইসলামী মূল্যবোধকে হাছিল করতে হলে দরকার সূক্ষ্ম অনুভূতি। আর এ অনুভূতি আসবে একমাত্র যারা আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী তথা উলিল-আমর উনাদের ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যম দিয়ে। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে সেই তাওফীক দান করুন। আমীন!