মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিশেষ রাতসমূহের মধ্যে একটি রাত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত শরীফ উনার রাত। যেটা আমরা পবিত্র শাবান মাস উনার ১৪ তারিখ দিবাগত রাত্রিতে পালন করে থাকি। আর লাইলাতুল বরাত অর্থ: মুক্তি বা নাজাতের রাত। শব ফার্সী শব্দ যার অর্থ হচ্ছে রাত আর বরাত আরবী, উর্দূ, ফার্সী, বাংলা শব্দ যার অর্থ হচ্ছে মুক্তি বা নাজাত। শবে বরাত বা ‘লাইলাতুল বরাত’ উনাকে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ভাষায় বলা হয় ليلة مبركة" (পবিত্র বরকতময় রজনী) এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ভাষায় বলা হয় "ليلة النصف من شعبان" (শা’বান মাস উনার চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত)। সুবহানাল্লাহ!
হযরত মুফাসসিরীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এই শবে বরাতকে "ليلة التجويره" (ফায়সালার রাত) বলে উল্লেখ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! সুতরাং এ রাতকে ফায়সালার রাত বলা হয় যে যেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র
কুরআন শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র সূরা দুখান শরীফ উনার ৪ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ করেন,
فيها يفرق كل امر جكيم.
অর্থ: “উক্ত রজনীতে প্রজ্ঞাসম্পন্ন সকল বিষয় ফায়সালা করা হয়।” সুবহানাল্লাহ!
অতএব, এই রাতে সকল বিষয়, যেমন: হায়াত, মউত, রিযিক, আমল ইত্যাদি যা কিছু মানুষের প্রয়োজন হয়ে থাকে তার ফায়সালা করা হয়। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই, এ রাতে যেহেতু সকল বিষয় ফায়সালা করা হয়। সেজন্য আমাদের সবার উচিত এরাতে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগী করা। কেননা উক্ত রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগী করা পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের নির্দেশ মুবারক উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
এবং বেশি বেশি খালিছ তওবা-ইস্তেগফার করতে হবে।
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি যেন আমাদের সকলকে এ পবিত্র বরাত উনার রাত্রিতে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগী করার তাওফীক দান করেন। (আমীন)
পবিত্র শবে বরাত প্রসঙ্গে উলামায়ে ছূদের আপত্তির জবাব, পর্ব-৩
অর্ধ শা’বান তথা শবে বরাত সম্পর্কে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
শবে বরাত উনার রাত্রিতে বনী কলব গোত্রের ছাগলের পশমের চেয়ে অধিক সংখ্যক গুনাহগার বান্দাকে আল্লাহপাক তিনি ক্ষমা করেননুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
“”হযরত জি
মহান রব্বুল আলামীন তিনি বান্দাদের ক্ষমা করার জন্য সবসময় উসিলা খোঁজেন…এরকমই একটি মহান উসীলা পবিত্র শবে বরাতবনী ইস্রাইলের একব্যক্তি ছিল যে তার নিজের হাতে ৯৯টি খুন করেছিল।
শেষ বয়সে এসে তার কৃতকর্মের জন্য অনুশ
শবে বরাত পালন করতে একটি হাদীসই যথেষ্ঠ
শবে বরাত পালন করতে একটি হাদীসই যথেষ্ঠ। মুমিনের জন্য একটি দলিলই যথেষ্ঠ আর শয়তানের জন্য হাজার হাজার
কেবল কমবখত, বদবখত, অশিক্ষিত, মূর্খ লোকেরাই বলে থাকে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ শবে বরাতের কোন দলীল নেই। নাঊযুবিল্লাহ
আদার ব্যাপারী জাহাজের খবর যেরূপ জানে না, ব্যাঙ যেরূপ কূপের মধ্যে থেকেই মনে করে এটাই সাগর। ঠিক বর্ত
আফসুস! ওইসব ব্যক্তির জন্য, যারা ‘পবিত্র লাইলাতুল বরাত’ পাওয়ার পরও এ রাতে তওবা, ইস্তিগফার, ইবাদত-বন্দেগী হতে গাফিল থাকে
“হাশরের দিনে বান্দার হিসাব-নিকাশ গ্রহণের পর দেখা যাবে, কতক উম্মতে হাবীবী তাদের উপর জাহান্নামের ফায়