পবিত্র শবে বরাতকে কুরআন শরীফ-এর ভাষায় ‘লাইলাতুম মুবারকাহ’ বা ‘বরকতময় রজনী’ বলা হয়েছে আর হাদীছ শরীফ-এ ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যে রাতকে ফারসী ভাষায় বলা হয় শবে বরাত। শব অর্থ রাত আর বরাত অর্থ ভাগ্য, তকদীর ইত্যাদি। একত্রে ‘শবে বরাত’-এর অর্থ হচ্ছে- ‘ভাগ্য রজনী’। এই নামেই পাক ভারত উপমহাদেশে রাতটি প্রসিদ্ধি লাভ করেছে।
বিশেষ দুঃখজনক এবং অগ্রহণীয় ও অসহনীয় হলেও সত্য যে, গত কয়েক বছর ধরে ইহুদীদের সৃষ্ট ওহাবীদের টাকায় লালিত-পালিত, ধর্মব্যবসায়ী, রাজাকার গং শয়তানের বাক্স হিসেবে খ্যাত টিভিতে খুব জোরদার প্রচারণা চালাচ্ছে যে, ‘শবে বরাত’ বলে ইসলামে কিছু নেই। নাঊযুবিল্লাহ!
পাশাপাশি তারা আরো বলছে, শবে বরাত উপলক্ষে মীলাদ শরীফ, মাজার শরীফ জিয়ারত, নফল ইবাদত, হালুয়া-রুটি তৈরি ইত্যাদি ইসলামে জায়িয নেই নাঊযুবিল্লাহ!। অথচ শবে বরাত প্রসঙ্গে কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “এটি অর্থাৎ লাইলাতুম মুবারকাহ (শবে বরাত) এমন এক রাত যে রাতে সমস্ত প্রজ্ঞাসম্পন্ন বিষয় ফায়ছালা করা হয়।” (সূরা দুখান : আয়াত শরীফ ৪)
আর হাদীছ শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “বরাত-এর রাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি যাবতীয় বিষয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন। আর ক্বদরের রাতে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বা কার্যকরী করার জন্য বাস্তবায়নকারী হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিকট তালিকা অর্পণ করেন।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যে সমস্ত উলামায়ে ‘সূ’ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর অপব্যাখ্যা করে পবিত্র শবে বরাত-এর আমলের প্রতি মানুষকে উৎসাহ দেয়ার পরিবর্তে “ইসলামে শবে বরাত বলতে কিছুই নেই” এ মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে নেক আমল থেকে বিরত রাখে, মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট চাওয়া-পাওয়া থেকে ফিরিয়ে রাখে তারাই ফাসিক, যালিম ও গুমরাহের অন্তর্ভুক্ত।