মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আমি কুরআন শরীফ নাযিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি বরকতময় রাতে। (সূরা দুখান : আয়াত শরীফ ৩)
অধিকাংশ তাফসীর গ্রন্থ ও গুনইয়াতুত ত্বালিবীন ৩য় খণ্ড ৩৪৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, লাইলাতিম মুবারকাহ হচ্ছে লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান আর ওটাই লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত।
আর সূরা ক্বদরে আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আমি লাইলাতুল ক্বদরে কুরআন শরীফ নাযিল করেছি। এ আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায় সমস্ত উলামায়ে কিরাম বলেছেন যে, উক্ত রাতটি ছিলো রমাদ্বান শরীফ-এর শেষ দশকের বেজোড় রাতের যে কোন একটি রাত।
পৃথিবীর সকল তাফসীর, হাদীছ, শরাহ, ফতওয়া, ফিক্বহ, তারীখ ইত্যাদি সমস্ত কিতাবে এ বিষয়টিই আলোচনা করা হয়েছে। অতএব, লাইলাতুম মুবারকাহ বা শবে বরাত কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ নেই এমন দাবি করা জিহালতী, অজ্ঞতা, গোমরাহী ও কুফরী। মূলত প্রকৃতপক্ষে কুরআন শরীফকেই অস্বীকার করার অন্তর্ভুক্ত। নাঊযুবিল্লাহ!
মুসলমান দাবি করার পরও যারা শবে বরাত মানেনা তারাই প্রকৃতপক্ষে বাতিল ৭২ ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত। যারা ওহাবী, খারিজী, দেওবন্দী, জামাতী, সালাফী, তাবলীগী তথা বাতিল তারাই শবে বরাত মানে না।