‘শবে বরাত’ পালন করা এবং এদিনে রোযা রাখাকে বিদয়াত বলা সুস্পষ্ট কুফরী

সউদী আরবের দারুল ইফতার সাবেক প্রধান ওহাবী আব্দুল আযীয বিন বা’য বলেছিল, ‘বর্তমানে প্রচলিত বিদয়াতসমূহের মধ্যে একটি বিদয়াত হচ্ছে, শবে বরাত পালন করা এবং এ দিনে রোযা রাখা।’ নাঊযুবিল্লাহ! (সূত্র : সাপ্তাহিক আরাফাত, ৩০তম সংখ্যা)

‘শবে বরাত’ সম্পর্কে ওহাবী বা’যের উক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে কুরআন শরীফ-সুন্নাহ শরীফ বিরোধী ও কুফরী। কারণ স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শবে বরাতে সজাগ থেকে ইবাদত-বন্দেগী করেছেন এবং দিনের বেলা রোযা রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর উম্মতকেও এ মুবারক রাতে সজাগ থেকে ইবাদত-বন্দেগী করার এবং দিনে রোযা রাখার জন্য আদেশ করেছেন।

অন্য হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘যখন অর্ধ শা’বানের রাত উপস্থিত হবে তখন তোমরা উক্ত রাতে নামায আদায় করবে এবং দিনে রোযা রাখবে।’ (ইবনে মাযাহ, মাছাবীহুস্ সুন্নাহ, মিশকাত শরীফ, মিরকাত)

উক্ত হাদীছ শরীফ দ্বারা সাব্যস্ত হলো যে, শবে বরাত বা অর্ধ শা’বানের রাতে সজাগ থেকে ইবাদত-বন্দেগী করা এবং দিনের বেলা রোযা রাখা খাছ সুন্নত। কাজেই ‘শবে বরাত’ পালন করা ও এ উপলক্ষে রোযা রাখাকে বিদয়াত বলা কাট্টা গুমরাহী ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। কাজেই বলার অপেক্ষাই রাখে না যে ওহাবী বা’য উপরোক্ত বক্তব্য দ্বারা সুন্নতের প্রতি ইহানত করেছে ও সুন্নতকে অস্বীকার করা হয়েছে। অথচ সুন্নতকে ইহানত ও সুন্নতকে অস্বীকার করা হচ্ছে কাট্টা কুফরী। আর যে বা যারা কুফরী করে সে বা তারা কাট্টা মুরতাদ হয়ে যায়।