শবে বরাতের বিরোধীতাকারীদের নিকট প্রশ্ন” শবে বরাতে নেক আমল করাও কি বিদয়াত?”

আল্লাহতায়ালা অতি দয়ালু ও মেহেরবান। তার দয়া ও রহমতের কোনো শেষ নেই। অনেক সময় বান্দার কোনো ছোট আমলেও আল্লাহতায়ালা সন্তুষ্ট হয়ে যান। তাই কোনো নেক আমল বাহ্যিকভাবে ছোট ও সহজ বলেই সে সম্পর্কে অবহেলা করা উচিত নয়।
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
১.”কোনো সৎ কাজকেই কখনো তুচ্ছ জ্ঞান করবে না। যদিও তা হয় তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাত। -সহিহ মুসলিম
২. তোমার ঈমানকে খাটি কর অল্প আমলই নাযাতের জন্য যথেষ্ট হইবে(সহীহ বুখারী শরীফ)
দেখা যাচ্ছে হাদীস শরিফে অল্প আমলকেও অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে বারন করা হয়েছে।
তাহলে যারা শবে বরাতকে বিদয়াত বলে অবজ্ঞা করে এর আমলকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছে তারা কি উপরোক্ত হাদিস শরিফের বিরোধীতা করছেনা?
প্রশ্ন জাগে শবে বরাতে কি কি আমল করা হয় ?
১. বরাতের নামায: শবে বরাতে ৪, ৬, ৮, ১০, ১২ রাকায়াত নফল নামায পড়া যেতে পারে।
২. ছলাতুত তাসবীহ নামায: অতঃপর ছলাতুত তাসবীহ-এর নামায পড়বে, যার দ্বারা মানুষের সমস্ত গুণাহখতা ক্ষমা হয়।
৩. তাহাজ্জুদ নামায: অতঃপর তাহাজ্জুদের নামায পড়বে, যা দ্বারা আল্লাহ পাক-উনার নৈকট্য হাছিল হয়।
৪. কুরআন শরীফ তিলাওয়াত: কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করবে, যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা-উনার সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। কেননা নফল ইবাদতের মধ্যে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত হচ্ছে সর্বোত্তম আমল।
৫. মীলাদ শরীফ ও দুরূদ শরীফ পাঠ: মীলাদ শরীফ ও দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, যার দ্বারা আল্লাহ পাক-উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।
৬. যিকির-আযকার: যিকির-আযকার করবে, যার দ্বারা দিল ইছলাহ হয়।
৭. কবর যিয়ারত: কবরস্থান যিয়ারত করবে, যার দ্বারা সুন্নত আদায় হয়।
৮. দান-ছদকা: গরীব-মিসকীনকে দান-ছদকা করবে ও লোকজনদের খাদ্য খাওয়াবে, যার দ্বারা হাবীবুল্লাহ হওয়া যায়।
৯. দোয়া-ইস্তিগফার:
তাদের মতে এ সমস্থ নেক আমল করাও কি বিদয়াত ?