পবিত্র শবে বরাত উনাকে লক্ষ্মীপূজার সাথে তুলনা করে মুফতে ইবরাহীম কুফরী করেছে (২)

পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা সাবেত যে, পবিত্র শবে বরাত পালন করা জায়িয। শুধু জায়িযই নয়, বরং খাছ সুন্নাতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অন্তর্ভূক্ত।

উল্লেখ্য, মুফতে ইবরাহীমের গুরু ইবনে তাইমিয়াও স্বীকার করেছে এবং ফতওয়া দিতে বাধ্য হয়েছে যে, পবিত্র শবে বরাত উনাকে পালন করা জায়িয। ইবনে তাইমিয়া তার স্বলিখিত কিতাব ‘মজমুয়ায়ে ফতওয়া’র ২৩তম খন্ডের ১৩২নং পৃষ্ঠায় লিখেছে,
“শবে বরাত বিষয়ে কথা হলো, এ রাতের ফযীলত সম্পর্কে অনেক পবিত্র হাদীছ শরীফ এবং পবিত্র আছার শরীফ উনাদের থেকে বর্ণিত রয়েছে। সলফে ছালেহীনগণ থেকে উদ্ধৃত রয়েছে যে, তারা এ পবিত্র রাতে নফল নামায পড়তেন। এ রাতে নফল নামায একা একা পড়তে হবে। সলফে ছালেহীনগণ সে রকমই করতেন। আর এটাই পরবর্তীদের জন্য হুজ্জাত বা গ্রহণযোগ্য দলীল। সুতরাং এটাকে অস্বীকার করা যাবে না।”

অথচ গত ১৫ শা’বান শরীফ ১৪৩৪ হিজরী তারিখে নরসিংদীর জামিয়া কাসেমিয়া নামক কওমী মাদরাসার শিক্ষক মুফতে ইবরাহীম একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে পবিত্র শবে বরাত উনাকে লক্ষ্মীপূজার সাথে তুলনা করে কুফরী করেছে। বিধায় তাকে সালাম দেয়া, তার পিছনে নামায পড়া, তার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা এবং তার মাদরাসায় যাকাত দেয়া- প্রতিটিই কুফরী হিসেবে গণ্য হবে।