যেখানেই ধর্মব্যবসায়ী মাওলানাদের ওয়াজ ও কথিত প্রগতিবাদীদের মিটিং-সমাবেশ হয়, সেখানেই চলে ইহুদী-খ্রিস্টানদের প্রশংসা ও মুসলমানগণকে ঈমান ও আমল তথা আল্লাহ পাক উনার রহমত ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইহসান থেকে দূরে রাখার বিভ্রান্তিমূলক যত সব কথা। তাই পবিত্র শবে বরাত এলে জুমুয়ার খুতবায়, হারাম টিভি চ্যানেলে ও ওয়াজ মাহফিলে বলে থাকে যে- ‘সারা বছর ইবাদত-বন্দেগী না করে শবে বরাত পালন করে লাভটা কী? নাঊযুবিল্লাহ! আবার কেউ কেউ বলে যে- ‘শবে বরাতের ভিত্তিই তো কুরআন-হাদীছে পাওয়া যায় না। নাঊযুবিল্লাহ!
অথচ সূরা দু-খান এবং ছিহাহ ছিত্তাহর হাদীছ শরীফসহ অসংখ্য হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে ভাগ্য রজনী পবিত্র শবে বরাতের আমল ও ফযীলতের কথা। সুতরাং ‘শবে বরাতেরই তো ভিত্তি নেই’- এরূপ কথা বলা চরম জিহালতী ও কুফরী বৈ কিছুই নয়। কেননা এরূপ বিভ্রান্তিমূলক কথা বলার অর্থ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফকে অস্বীকার করা। যা কাট্টা কুফরী।
হাদীছ শরীফ-এর বর্ণনা মতে, পবিত্র শবে বরাতে মহান আল্লাহ পাক অবারিতভাবে রহমতে খাছ বর্ষণ করেন। তাই সারা বছর ইবাদত-বন্দেগী করেনি এমন ব্যক্তিও যদি মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতের প্রত্যাশী হয়ে পবিত্র বরাতের রাতে ইবাদত-বন্দেগী করে, খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করে, দোয়া-মুনাজাত করে, কান্না-কাটি আহাজারি রোনাজারি করে আর তাতে সে রহমতে খাছ-এর হিস্যা লাভ করলে তো তার জীবনের মোড় ঘুরে যাবে নিশ্চয়ই। তখন তো সে ইবাদত গুজার বান্দায় পরিণত হয়ে যাবে। তবে কোন ব্যক্তি সারা বছর ইবাদত-বন্দেগী না করলে এই বরাতের রাতে ইবাদত করতে পারবে না কেন? কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের কোথাও কী এমন নিষেধাজ্ঞা বর্ণিত আছে যে, সারা বছর ইবাদত-বন্দেগী না করলে বিশেষ রাতে ইবাদত-বন্দেগী করা যাবে না? অবশ্যই নেই।