পবিত্র শবে বরাত মুসলিম উম্মাহ উনাদের জন্য একটি বিশেষ নিয়ামত
মুসলিম ও অমুসলিম সকল সরকারের অপরিহার্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে কমপক্ষে ৩ দিন ছুটি ঘোষণা করা
পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী পবিত্র শা’বান মাস উনার ১৫ তারিখ রাতখানাই পবিত্র ‘শবে বরাত’ নামে খ্যাত। এই পবিত্র রাত উনার ইবাদতের ফযীলত সম্পর্কে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যখন শা’বান মাসের ১৫ তারিখের রাত আগমন করে তখন তোমরা সমস্ত রাত ইবাদত-বন্দেগীতে কাটিয়ে দাও এবং দিনে রোযা রাখ।”
কেননা পবিত্র শবে বরাত উনার রাত শুরু হওয়ার সাথে সাথেই মহান আল্লাহ পাক তিনি দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে নাযিল হন অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন এবং ইরশাদ মুবারক করেন, কে আছো ক্ষমাপ্রার্থী? তাকে আমি ক্ষমা করবো। কে আছো রিযিক প্রার্থী? যাকে আমি অপরিমিত রিযিক দান করবো। কে আছো বিপদগ্রস্ত? যার বিপদ আমি ঘুচাব তথা দূরীভূত করে দিবো। এমনিভাবে ছুবহে ছাদিক পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে বান্দা-বান্দী বা উম্মতদের প্রতি ঘোষণা হতে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র শবে বরাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দা-বান্দী বা উম্মতের সমস্ত দোয়া ও ইবাদত-বন্দেগী কবুল করে থাকেন। পাপরাশি ক্ষমা করেন। বিশেষ রহমত নাযিল করেন।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র শবে বরাত উনার রাতে এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আজকে পবিত্র শবে বরাত উনার রাত। বনী কলব গোত্রের ছাগলের পশমের চেয়ে অধিক সংখ্যক আপনার গুনাহগার উম্মতকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমা করে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ!
কাজেই প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- পবিত্র শবে বরাত যথাযথভাবে পালনের জন্য এ উপলক্ষে কমপক্ষে তিন দিন ছুটি ঘোষণা করা। পাশাপাশি সরকারিভাবে সারাবিশ্বে পবিত্র শবে বরাত পালন করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।