পবিত্র শবে বরাত সম্পর্কে তথাকথিত জাতীয় পত্রিকার কুফরীমূলক বক্তব্যের ঈমানী জবাব। একমাত্র কাফির মুরতাদ শ্রেণীর লোকেরাই পবিত্র শবে বরাতের বিরোধিতা করে ( ৩)


যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, জামাতে মওদুদীর মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় পবিত্র শবে বরাত তথা ‘লাইলাতুল মুবারাকা’ ‘লাইলাতু নিছফি মিন শাবান’ সম্পর্কে বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন পরিচয়ধারী এক ব্যক্তি দ্বারা ‘লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত কি ও কেন?’ শীর্ষক প্রবন্ধে বলেছে- ‘নেছফে শাবানের রাত্রি জাগরণ সংক্রান্ত হাদীসটি নির্ভুল হয়ে থাকলে এর বর্ণনানুযায়ী অর্ধ শা’বানের রাতের একটা গুরুত্ব আছে। তা থাকতে পারে। কারণ নেছফে শা’বান আর রমাদ্বানের মাঝে ব্যবধান মাত্র ১৫ দিন। রমাদ্বানের প্রস্থতির জন্য এক রাতের একটা কসরত হয়ে থাকলে তাতে রমাদ্বানের শুভাগমনের একটা বার্তাও পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে।’ নাঊযুবিল্লাহ!

ধর্মদ্রোহী ডিনের বক্তব্যে বুঝা যায়, সে পবিত্র শবে বরাত-এর রাত্রি জাগরণ সংক্রান্ত হাদীছ শরীফ সম্পর্কে সন্দেহপ্রবণ অর্থাৎ এক কথায় অবিশ্বাসী। এরপরও সে যদি হাদীছটি নির্ভুল হয় বলে অর্ধ শা’বান রাত্রির ফযীলত তথা গুরুত্বের নিজস্ব মনগড়া কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছে। যাতে সে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ এবং হযরত ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরামগণ উনাদের থেকেও নিজেকে শ্রেষ্ঠ বুঝবার এবং বুঝানোর অপচেষ্টা করেছে। নাঊযুবিল্লাহ!

নতুবা সে কি করে পবিত্র শবে বরাত-এর রাত্রির হাদীছ শরীফসম্মত ফাযায়িল-ফযীলত কারণ উল্লেখ না করে নিজস্ব মনগড়া ব্যাখ্যা প্রদান করলো। সে হাদীছ শরীফ-এর প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারলো না অথচ নিজের কলুষযুক্ত ওয়াছওয়াছা প্রবণ শয়তানী ধ্যান-ধারণার প্রতি আস্থা রাখলো? নাঊযুবিল্লাহ! কারণ সে অর্ধ শা’বান রাত্রির গুরুত্ব থাকতে পারে বলে সন্দেহ রেখে যে কল্পিত ব্যাখ্যা দিয়েছে তেমন ব্যাখ্যা বা কারণ ইসলামী শরীয়তের কোথাও বিন্দুমাত্র উল্লেখ নেই।

 ধর্মদ্রোহী জাহিল ডিন পবিত্র শবে বরাত পালনের উৎস ইতিহাস সম্পর্কে বলেছে- “সংখ্যাগরিষ্ঠ অমুসলিমদের মাঝে সংখ্যালঘিষ্ঠ মুসলিমদেরও অনুরূপ কিছু কর্মসূচি দেয়ার জন্য হয়তো বা অথবা ধর্মীয় গুরুরা নেছফে শা’বানকেই এজন্য বেছে নিয়ে থাকতে পারেন। এছাড়া শবে বরাত পালনের প্রথা প্রথম সিরিয়ায় হয়েছে বলে কেউ কেউ মনে করেন।” নাঊযুবিল্লাহ!

 ধর্মদ্রোহী মিথ্যাবাদী ডিন এমন কথা কোথায় পেয়েছে? ইবলিশ শয়তান কি তাকে কানে কানে এমন কল্পকাহিনী শুনিয়ে গেছে? যেখানে পবিত্র কুরআন শরীফ-এ স্বয়ং আল্লাহ পাক সূরা দুখানের মাধ্যমে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীছ শরীফ-এ আকাবিরে ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মাধ্যমে নিছফি মিন শা’বান তথা পবিত্র শবে বরাত রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগী দোয়া-ইস্তিগফারসহ নানাবিধ শরীয়তসম্মত রীতি-নীতির প্রচলন হয়েই আসছে- সেখানে পবিত্র বরাতের রাতে বিশেষ ইবাদত-বন্দেগী উদযাপনকে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় গুরুদের বানানো কর্মসূচি বলা আবার সেটাকে সিরিয়া হতে প্রথম উৎপত্তি বলা যে কতবড় কাট্টা কুফরী কথা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এই ধর্মদ্রোহী ডিন মূলত মানুষরূপী ‘বালহুম আদ্বল’ ছাড়া কিছুই নয়। নতুবা সে কোন সনদে, কোন রেওয়াতে, কোন ছহীহ রাবীর বর্ণনায় কিংবা কোন মশহুর কিতাব থেকে এমন সব উদ্ভট খোঁড়া যুক্তি প্রদর্শন করলো?