মুসলমানগণ আজ তাদের দ্বীন ধর্মের ঐতিহ্য সম্পর্কে বড়ই বেখবর। এই সুযোগে বিধর্মী বিজাতী ও তাদের মুরতাদ এজেন্টরা দ্বীন ইসলাম-এর মাঝে বিকৃতি ঘটানোর অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।
আমরা জানি পবিত্র শাবান মাস অতিশয় বরকতময় একটি মাস। যে মাসের ১৫ তারিখ পবিত্র শবে বরাত নামে সারা বিশ্বে সুবিখ্যাত। এখন মুসলমানগণকে পবিত্র শবে বরাত-এর নাজ নিয়ামত থেকে বঞ্চিত করার জন্য একদিকে লা-মাজহাবী ওহাবী খারিজীরা যেমন তৎপর তদ্রুপ পবিত্র শবে বরাত এর প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকেও মুসলমানগণকে সরিয়ে দিতে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে ইরানী শিয়া গং। যারা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত-এর ফতোয়া মুতাবিক কাট্টা কাফির হিসেবে গণ্য। এরা ইদানীং অপপ্রচার চালাচ্ছে, পবিত্র শবে বরাত-এ নাকি তাদের কথিত এক গায়েবী ইমাম জন্ম নিয়েছে তাই শবে বরাত বরকতময়।
অথচ আসল ইতিহাস হলো, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার, কলিজার টুকরা, নয়নের মণি. বেহেশতে যুবকদের সাইয়্যিদ, খলীফাতুর রসূলিল্লাহ, ইমামুল হুমাম সাইয়্যিদুনা হযরত হাসান আলাইহিস সালাম তিনি দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ আনেন পবিত্র শাবান মাসের অতি বরকতময় তারিখ পনেরই শাবান তথা পবিত্র শবে বরাত-এ। সুবহানাল্লাহ!
এটাই হচ্ছে সবচাইতে প্রসিদ্ধ মত। তিনি এমন এক সুমহান ব্যক্তিত্ব যে কেউ উনাকে অন্তর থেকে মুহব্বত করবে সে যেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকেই মুহব্বত করলো। সুবহানাল্লাহ!
যার ফলে তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়। সারা বিশ্বের সকল মুসলিম পত্র পত্রিকা, প্রতিষ্ঠান, স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি র্কতৃপক্ষসহ সমস্ত মুসলমান শাসকদের উচিত ইমামুল হুমাম সাইয়্যিদুনা হযরত হাসান আলাইহিস সালাম উনার বিলাদত শরীফকে কেন্দ্র করে আরো ব্যাপকভাবে পবিত্র শবে বরাত উদযাপনের ব্যবস্থা করা। কারণ উনার সুমহান বিলাদত শরীফ-এর কারণেই আজিমুশশান শবে বরাত-এর রাত ও দিন গোটা কায়িনাতবাসীর জন্য আরো বেশি বরকতময় ও ধন্য হয়ে গেলো!
Home
শবে বরাত শরীফ
পবিত্র শবে বরাত ।। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল হুমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার বিলাদত শরীফ-এর কারণে আরো ধন্য বরকতময় হলো