পবিত্র শা’বান মাস এলেই এক শ্রেণীর লোকের গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায় এবং তারা বলতে থাকে- ‘শবে বরাত বলে কোরআন হাদীছে কিছুই নেই।’ নাউযুবিল্লাহ!
মূলত, এরা ঐ শ্রেণীর ওলামায়ে ছূ; যারা পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের হুকুম মুবারককে ইফরাত-তাফরীত বা রদ-বদল করে থাকে। পবিত্র শবে বরাত বিরোধী মহলের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘লা-মাযহাবী’ গোষ্ঠী, যারা কোনো মাযহাবই মানে না। এরা এদের মনমতো হলেই পবিত্র হাদীছ শরীফ গ্রহণ করে ও মানার চেষ্টা করে। অন্যথায় এরা এদের মনমতো না হলে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরকে গ্রহণ করতে ও মানতে নারাজ। নাঊযুবিল্লাহ! এরা বিভিন্ন মাধ্যমে শবে বরাত বিরোধী বক্তব্য দিয়ে থাকে, মাঝে মাঝে এরা পবিত্র শবে বরাত বিরোধী লিফলেটও প্রচার করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ!
অথচ মুফাসসিরীনে কিরাম এবং মুহাদ্দিসীনে কিরাম উনারা সম্মিলিতভাবে মত প্রকাশ করেছেন যে, মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র সূরা দুখান শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখিত لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ এবং সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখিত ليلة نال النصف من شعبان দ্বারা পবিত্র লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত উনাকে বোঝানো হয়েছে।
সে কারণে পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা শরীফ ও ক্বিয়াস শরীফ উনাদের নির্দেশ অনুযায়ী এই মহাসম্মানিত লাইলাতুল বরাত বা পবিত্র শবে বরাতে যিকির-ফিকির, তাছবীহ-তাহলীল, কবর যিয়ারত, নফল নামায, কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, এই মহিমান্বিত রাতের সম্মানার্থে মানুষকে খাদ্য খাওয়ানো, কান্নাকাটি করে মুনাজাত বা নিজের আরজু প্রকাশ করা এবং ১৫ শা’বান শরীফ রোযা রাখার মাধ্যমে খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাস্্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক অর্জন করা আমাদের জন্য অবশ্য কর্তব্য। তাই সকলকে পবিত্র শবে বরাত পালন করার এবং অন্যকে পালন করতে উৎসাহ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিশেষ করে দাওয়াত দিচ্ছি- রাজারবাগ দরবার শরীফে এসে দেখে যেতে যে, কিভাবে মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি নিজে উপস্থিত থেকে পুরুষদেরকে এবং খাছ পর্দার সাথে হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি মহিলাদেরকে পবিত্র ইবাদতসমূহ পালন করানোর মাধ্যমে ভাবগাম্ভীর্য ও শান শওকতের সাথে পবিত্র লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত পালন করে থাকেন।