বর্ষ পরিক্রমায় আবার এসেছে ফিরিয়া,
কুল কায়িনাতের ভাগ্যের ডালি সাজাইয়া।
মহা সম্মানিত ভাগ্য রজনী শবে বরাত,
রহমত, বরকত, মাগফিরাতের এ মহিমান্বিত রাত।
কুরআন মজিদে নাম লাইলাতুল মুবারাক যার,
হাদীছ শরীফ-এ লাইলাতুল নিছফি মিন শা’বান উল্লেখ তার।
এ নিয়ে ফিতনা করে অভিশপ্ত উলামায়ে ছূ’য়ের দল,
ওরা কেন বুঝে না কি ভয়ঙ্কর হবে এ ফিতনার ফল।
যাদের নির্দেশে বিভ্রান্তি ছড়ায় এই উলামায়ে ছূ’য়ের দল,
পারবে কি তারা রক্ষা করিতে এদের ইহকাল ও পরকাল?
এই রাতে ফায়ছালা হয় জন্ম মৃত কুল কায়িনাতের,
আরো সিদ্ধান্ত হয় গুরুত্বপূর্ণ সকল বিষয়ের।
গুনাহ মাফের পাঁচটি রাতের একটি হলো শবে বরাত,
মূর্খরা কি করে ঘুমিয়ে কাটায় মহা পুণ্যময় এ রাত।
কুরআন শরীফ-এর বাণী বুঝেনা এই মহামূর্খের দল,
ওরা শুধু বৃদ্ধি করে ইসলামের শত্রু ইহুদী মুশরিকের বল।
মহা ধুমধামে পালিত হতো শবে বরাত বইতো বন্যা আনন্দের,
কাফিরের বিভ্রান্তিতে বঞ্চিত মুসলমান এমন রহমত ও বরকতের।
বনী কালবের হাজার হাজার ভেড়ার গায়ে ছিল পশম যত,
ততোধিক বান্দা পাইবে নাজাত, করিতে হইবে না লজ্জায় মাথা নত।
মুজাদ্দিদে আ’যম-এর তাজদীদে আবার পেলাম মহিমান্বিত এই শবে বরাত,
হে দয়াময়! খুলি দিন ভাগ্য মোদের, দান করুন রহমত ও মাগফিরাত।