পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ তথা পবিত্র শবে বরাত সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানো উলামায়ে ‘সূ’দের একটি বৈশিষ্ট্য

বরকতময় ভাগ্য রজনী বা পবিত্র লাইলাতুল বরাত সমাগত। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার প্রস্তুতির মাস, লাইলাতুল বরাত উনার মাস। এ সুমহান মাসের ফযীলত অপরিসীম। দোয়া কবুলের ৫টি রাতের মধ্যে ১টি রাত এই মাসেই। মূর্খরা ভাগ্য রজনী বোঝে না। আসলে আত্মার খুলুছিয়াত না থাকলে বুঝবে কি করে? এ রজনী সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট পবিত্র আয়াতে কারীমা থাকা সত্ত্বেও উলামায়ে ‘সূ’ ও বাতিল ফিরকার লোকেরা সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ায়। মহান আল্লাহ পাক তিনি এই মূর্খদের আক্বল দান করুন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বিষয়টি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। মূর্খরা বলে- ‘শবে বরাত’ শব্দটা মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে নেই। সাধারণ মুসলমানদের প্রতারণার জন্য এটাই যথেষ্ট। ‘নামায’ শব্দটাও পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে নেই, তাহলে কী নামায আদায় করা থেকে মুসলমান বিরত থাকবে?

১৮৩৬ সালে ইংরেজ বেনিয়ারা ইংরেজিকে দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে চালু করেছে। এর পূর্বে এ অঞ্চলে ফারসী ভাষা সরকারি ভাষা হিসাবে প্রচলিত ছিলো। সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই ফারসী, আরবী, উর্দু ভাষার প্রচলন ছিলো। ‘শবে বরাত’ শব্দটি এভাবেই প্রচলিত হয়েছে। কাজেই ভাষার এই দুর্বল যুক্তি দেখিয়ে শবে বরাত তথা লাইলাতুল বরাতকে বিদয়াত বলা কাট্টা মূর্খতা।

 মূর্খদের আরেক প্রশ্ন- ভাগ্য যদি শিশুর জন্মের আগে লিপিবদ্ধ থাকে, তবে লাইলাতুল বরাতে নতুন কি লেখা হবে? এমন প্রশ্ন বাতিলেরা অজ্ঞতাবশত করে থাকে। জন্মের আগে ভাগ্য লিপিবদ্ধ হয়ে থাকে ঠিক; কিন্তু মানুষের কর্মের কারণে এই ভাগ্য পরিবর্তন হয় এবং দোয়ায় তাক্বদীর পরিবর্তন হয়। এই ভাগ্য রজনীর রাত্রে ভাগ্যলিপিতে নতুন সংযোগ হয়ে থাকে। কাজেই বাতিলদের এ প্রশ্নও যুক্তির ধোপে টিকে না। মনগড়া কাল্পনিক কথায় পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ব্যাখ্যা করা কুফরী। বাতিলদের একটি যুক্তিও সঠিক নয়, শুধুই মূর্খতা। সুতরাং হে মুসলমানরা, আপনারা পবিত্র বরাত উনার রাতে ইবাদত-বন্দেগী এবং দিনে রোযা থাকার নিয়ত করে ফেলুন।