মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র “সূরা দু’খান শরীফ” উনার ৪ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ করেন, “এটি এমন এক রাত যে রাতে সমস্ত প্রজ্ঞাসম্পন্ন বিষয়গুলো ফায়ছালা করা হয়।”
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উনার রাতে ফায়ছালা করা হয় কতজন সন্তান সামনের এক বৎসর জন্মগ্রহণ করবে এবং কতজন সন্তান মৃত্যুবরণ করবে। এ রাত্রিতে বান্দার আমলনামা মহান আল্লাহ পাক উনার সামনে পেশ করা হয় এবং এ রাত্রিতে সমস্ত বান্দার রিযিকের ফায়ছালা করা হয়।” (বাইহাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হলো, বরকতময় রজনীতে বা পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উনার মধ্যে সকল কাজের ফায়ছালা করা হয়। যেমন- হায়াত, মউত, বিবাহ, রিযিক ইত্যাদি যা কিছু মানুষের প্রয়োজন এবং আমলনামারও ফায়ছালা করা হয়।
এজন্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, “পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার মধ্য তারিখের রাত তথা পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উনার নামসমূহের মধ্যে একটি নাম হচ্ছে ‘লাইলাতুল ক্বিসমাহ বা ভাগ্য রজনী।’ এ রাত্রিতে রিযিকসমূহ ও তাক্বদীর বা ভাগ্য নির্ধারণ, বণ্টন ও ফায়ছালা করা হয়।” সুবহানাল্লাহ!
হযরত আত্বা ইবনে ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার মধ্য তারিখের রাত্রিতে মালাকুল মাউত হযরত আযরাইল আলাইহিস সালাম উনাকে ওই সকল ব্যক্তির নামের একটা অনুলিপি বা তালিকা প্রদান করা হয় যারা এক শা’বান শরীফ থেকে আরেক শা’বান শরীফ উনার মধ্যে ইন্তিকাল করবে।”
Home
শবে বরাত শরীফ
পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার মধ্য তারিখের রাতটি ‘লাইলাতুল ক্বিসমাহ’ বা ভাগ্য রজনীর রাত ॥ এ রাতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ফায়ছালা করা হয়