শবে বরাতে হালুয়া রুটি অথবা অন্য কোনো বিশেষ খাবার তৈরি করা ও মানুষকে খাওয়ানো সুন্নত

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি ইরশাদ করেন, “তারা বলেন কেবল আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টির জন্যেই আমরা তোমাদেরকে আহার দান করি এবং তোমাদের কাছে কোনো প্রতিদান ও কৃতজ্ঞতা কামনা করি না।”

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা মানুষকে খাদ্য খাওয়াও।”

অন্য বর্ণনায় এসেছে, সাইয়্যিদুনা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জিজ্ঞাসিত হয়ে জাওয়াবে বলে ছিলেন, “উত্তম আমল হলো:
(১) পরস্পরে সালাম বিনিময় করা
(২) কাউকে খাদ্য দেয়া এবং
(৩) মানুষেরা যখন ঘুমিয়ে যায় তখন নফল (তাহাজ্জুদ) নামায আদায় করা।” (মিশকাত শরীফ)

এজন্য শবে বরাত উপলক্ষে হালুয়া-রুটি অথবা অন্য কোনো বিশেষ খাবার তৈরি করা ও মানুষকে খাওয়ানো শরীয়তে নাজায়িয তো নয়ই, বরং জায়িয ও শরীয়তসম্মত তো অবশ্যই; সাথে সাথে খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। যারা এটাকে বিদয়াত বা নাজায়িয বলে থাকে তাদের কথা মোটেও শরীয়তসম্মত ও গ্রহণযোগ্য নয়। মূলত, তাদের এ কথাগুলো কুফরী ও গুমরাহীমূলক।

অতএব, জাহিল অজ্ঞ লোকদের অপপ্রচারে কর্ণপাত না করে শবে বরাত পালন করা সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য। শবে বরাত ভাগ্য রজনী, ক্ষমা মাগফিরাত রহমত বকত নাজাত লাভের রাত। সুবহানাল্লাহ!