শবে বরাত-এর বিভিন্ন নামই প্রমাণ করে এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য কত অধিক!

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ এবং সর্বজনমান্য তাফসীর ও ফিক্বাহর কিতাবসমূহে শবে বরাত-এর বহু নাম উল্লেখ রয়েছে।
যেমন-
১. আল লাইলাতুম মুবারকাহ অর্থাৎ বরকতময় রজনী
২. লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান অর্থাৎ অর্ধ শা’বানের রজনী।
৩. লাইলাতুল ক্বিসমা অর্থাৎ ভাগ্য রজনী।
৪. লাইলাতুত তাকফীর অর্থাৎ গুনাহখাতা ক্ষমা বা কাফফারার রাত্রি।
৫. লাইলাতুল ইজাবাহ অর্থাৎ দোয়া কবুলের রাত্রি।
৬. লাইলাতুল হায়াত অর্থাৎ হায়াত বা আয়ু বৃদ্ধির রাত্রি।
৭. লাইলাতু ঈদিল মালায়িকাহ অর্থাৎ হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের ঈদের রাত্রি।
৮. লাইলাতুল বারায়াত অর্থাৎ মুক্তির রাত্রি।
৯. লাইলাতুত তাজবীয অর্থাৎ বিধান সাব্যস্ত করার রাত্রি।
১০. লাইলাতুল ফায়ছালাহ অর্থাৎ সিদ্ধান্ত নেয়ার রাত্রি।
১১. লাইলাতুছ ছিক অর্থাৎ ক্ষমার স্বীকৃতি দানের রাত্রি।
১২. লাইলাতুল জায়িযাহ অর্থাৎ পুরস্কারের রাত্রি।
১৩. লাইলাতুর রুজহান অর্থাৎ পরিপূর্ণ প্রতিদানের রাত্রি।
১৪. লাইলাতুত তা’যীম অর্থাৎ সম্মান হাছিলের রাত্রি।
১৫. লাইলাতুত তাক্বদীর অর্থাৎ তক্বদীর নির্ধারণের রাত্রি।
১৬. লাইলাতুল গুফরান অর্থাৎ ক্ষমাপ্রাপ্তির রাত্রি।
১৭. লাইলাতুল ইতক্বি মিনান নীরান অর্থাৎ জাহান্নামের আগুন থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার রাত্রি।
১৮. লাইলাতুল আফব অর্থাৎ অতিশয় ক্ষমা লাভের রাত্রি।
১৯. লাইলাতুল কারাম অর্থাৎ অনুগ্রহ হাছিলের রাত্রি।
২০. লাইলাতুত তাওবাহ অর্থাৎ তওবা কবুলের রাত্রি।
২১. লাইলাতুন নাদাম অর্থাৎ কৃত গুনাহ স্মরণে লজ্জিত হওয়ার রাত্রি।
২২. লাইলাতুয যিকর অর্থাৎ যিকির-আযকার করার রাত্রি।
২৩. লাইলাতুছ ছলাত অর্থাৎ নামায আদায়ের রাত্রি।
২৪. লাইলাতুছ ছদাক্বাত অর্থাৎ দানের রাত্রি।
২৫. লাইলাতুল খইরাত অর্থাৎ নেককাজ সম্পাদনের রাত্রি।
২৬. লাইলাতু ইনযালির রহমাহ অর্থাৎ রহমত নাযিলের রাত্রি।
২৭. লাইলাতু ছলাতিন ওয়া সালামিন আলা সাইয়্যিদিল মুরসালীনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ সাইয়্যিদুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত ও সালাম পাঠের রাত্রি।

কাজেই উপরোক্ত নামসমূহ সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণ করে যে, পবিত্র শবে বরাত উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের জন্য এক বিরাট নিয়ামত। প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য আবশ্যক হবে পবিত্র শবে বরাত-এর হাক্বীক্বী মর্যাদা-মর্তবা অনুধাবন করে তা পালনের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার রেযামন্দি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রেযামন্দি সন্তুষ্টি হাছিল করার জন্য কোশেশ করা।