উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার মধ্যবর্তী রাত্রে অর্থাৎ পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উনার মধ্যে দুনিয়ার আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন। বনী কলবের মেষ পালের যত পশম রয়েছে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার চেয়েও অধিক সংখ্যক গুনাহগারকে এ (পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উনার) রাত্রে ক্ষমা করে থাকেন।” সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ পবিত্র বরাত শরীফ উনার রাত হচ্ছে খালিছ তওবা ইস্তিগফারের মাধ্যমে ক্ষমা বা মুক্তি লাভের রাত। মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের রাত। এ রাত্রে যারা ক্ষমা প্রার্থনা করে তাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমা করে কবুল করে নেন। তবে যারা মুশরিক, জাদুকর, গণক, শরাব পানকারী, ব্যভিচারী, সুদখোর, মাতাপিতার অবাধ্য সন্তান, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী এবং ওই ব্যক্তি যে পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার কোনো কারণ ব্যতীত কোনো মুসলমান ভাইয়ের সাথে কথা বলা বন্ধ রাখে এবং পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার কারণ ব্যতীত কাউকে হত্যকারী তারা খালিছ তওবা না করা পর্যন্ত তাদের দুয়া কবূল হবে না।
তাই আমাদের উচিত পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উনার পরিপূর্ণ হিস্সা অর্থাৎ ক্ষমা সন্তুষ্টি লাভের জন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত গুনাহ ত্যাগ করে পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ অর্থাৎ পবিত্র ১৪ই শা’বান শরীফ দিবাগত রাত আসার আগেই খালিছ তওবা করে সকল প্রকার গুনাহ পরিত্যাগ করে পবিত্র বরাত উনার রাতের পূর্ণ নিয়ামত লাভে ধন্য হওয়া। আমীন!