শবে বরাত মুসলিম উম্মাহর বিশেষ নিয়ামত যা উত্তমভাবে পালনের জন্য কমপক্ষে ৩ দিন ছুটি ঘোষণা করা মুসলিম ও অমুসলিম সকল সরকারের অবশ্য দায়িত্ব ও কর্তব্য-১

কুল কায়িনাতের মহান স্রষ্টা আল্লাহ পাক তিনি আমাদের প্রিয় নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সৃষ্টি মুবারকের মাধ্যমেই কুল-কায়িনাত সৃষ্টি করেন। তাই উনার প্রিয়তম হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সীমাহীন শান, মান ও মর্যাদার কারণেই উনার উম্মতগণকে বিশেষ বিশেষ নিয়ামত দান করেন। যা অন্য কোন উম্মতদেরকে দান করেননি। এর লক্ষ-কোটি কারণ হতে পারে- তন্মধ্যে আমরা উম্মতে হাবীবীর সংক্ষিপ্ত হায়াতে তথা জীবনে খাঁটি নিয়তে মহান আল্লাহ পাক উনার স্বল্প ইবাদতের মাধ্যমেই পূর্ববর্তী যুগের শত সহস্র বছরের দীর্ঘায়ু প্রাপ্ত আবিদ ব্যক্তিগণের নেকী বা পুণ্যের চেয়ে অধিক পুণ্য হাছিল করে মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক নৈকট্য হাছিল করতে পারি।

উম্মতে হাবীবীর শান, মান, বুযূর্গী সকল উম্মতের চেয়ে বেশি সেকারণেই মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মতে হাবীবীকে বিশেষ পাঁচটি রাত্রি দান করেছেন। যথা- ১. ১৫ শা‘বানের রাত তথা শবে বরাত ২. শবে ক্বদর ৩. রজবুল হারাম মাসের পহেলা রাত ৪. ঈদুল ফিতর ও ৫. ঈদুল আযহার রাত।

উল্লেখ্য যে, ১৫ শা’বানের রাতকেই শবে বরাত বলে। এই রাতের ইবাদতের ফযীলত সম্পর্কে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যখন শা’বান মাসের ১৫ তারিখের রাত আগমন করে তখন তোমরা সমস্ত রাত ইবাদত বন্দেগীতে কাটিয়ে দাও এবং এর দিবাভাগে রোযা রাখ। কেননা শবে বরাতের রাত শুরু হওয়ার সাথে সাথেই মহান আল্লাহ পাক তিনি দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে নাযিল হন অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন এবং ইরশাদ করেন, কে আছো ক্ষমাপ্রার্থী? তাকে আমি ক্ষমা করবেন। (সুবহানাল্লাহ)

কে আছো রিযিক প্রার্থী? যাকে আমি অপরিমিত রিযিক দান করব। কে আছো বিপদগ্রস্ত? যার বিপদ আমি ঘুচাব। এমনিভাবে সুবহে সাদিক পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি ঘোষণা হতে থাকে। শবে বরাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দার সমস্ত দোয়া ও ইবাদত বন্দেগী কবুল করে থাকেন। পাপরাশি ক্ষমা করেন। বিশেষ রহমত নাযিল করেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি শবে বরাতের রাতে এসে বললেন, হে আল্লাহ পাক উনার হাবীব! আজকে শবে বরাতের রাত। বনী কলব গোত্রের ছাগলের পশমের চেয়ে অধিক সংখ্যক আপনার গুণাহগার উম্মতকে আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমা করে দিবেন। (সুবহানাল্লাহ)

হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ করেন, ‘এই শবে বরাতের রাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি আগামী বছরের বান্দার জন্ম-মৃত্যু, রুজী-রিযিক ইত্যাদি যাবতীয় কিছুর ভাগ্যলিপি প্রস্থত করেন।’
কাজেই প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম সকল সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো তারা যেন শবে বরাত উপলক্ষে কমপক্ষে তিন দিন ছুটি ঘোষণা করে সরকারিভাবে সারাবিশ্বে শবে বরাত পালন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।