পবিত্র শবে বরাতের শান ও বুযূর্গী সম্পর্কে এবং ওই রাতে যাবতীয় বিষয়ের ফায়সালা প্রসঙ্গে সূরা দু’খান-এর ৩ ও ৪ নম্বর আয়াত শরীফ-এ স্পষ্ট বলা হয়েছে।
লাইলাতুল বরাতে তথা শবে বরাতের নামাযের ফযীলত সম্পর্কে ‘তাফসীরে রুহুল মায়ানীতে’ উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘যে ব্যক্তি শবে বরাতের নামায আদায় করবে সে ব্যক্তি ২০টি মকবুল হজ্জের ও বিশ বছরের রোযার ছওয়াব পাবে।’ নুজহাতুল মাজালিস গ্রনে' আছে, শবে বরাতের ২ রাকায়াত নামায বনী ইসরাইলের এক বুযূর্গ ব্যক্তির পাথরের ভিতরে থেকে চারশত বছরের ইবাদতের চেয়ে উত্তম।’ সুবহানাল্লাহ!
এই শবে বরাত শুধু আমাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান শ্রেষ্ঠত্বের কারণেই উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দান করা হয়েছে। কাজেই এই শবে বরাতের রাতে ইবাদত-বন্দেগী, দোয়া-মুনাজাত, কান্নাকাটি, রোনাজারি ইত্যাদির মাধ্যমে জীবনের সমস্ত পাপ মোচন করে নিষ্পাপ জিন্দেগী হাছিল করে নিতে হবে। এর জন্য পূর্ব প্রস্থতির প্রয়োজন। যেমন শবে বরাতের পূর্বের দিন, শবে বরাতের দিন এবং পরের দিনের রোযার অনেক গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে। শবে বরাত মুসলিম উম্মাহর জন্য এক বিরাট নিয়ামত। মুসলমান যাতে করে এই শবে বরাত উত্তমভাবে উদযাপন করতে পারে এজন্যই প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম সকল ওই সরকারের জন্য আবশ্যক দায়িত্ব ও কর্তব্য হবে সরকারি-বেসরকারি সমস্ত প্রতিষ্ঠান, অফিস, আদালত ইত্যাদি কর্ম প্রতিষ্ঠানকে কমপক্ষে তিন দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করে শবে বরাতের নামায, রোযা, ইবাদত বন্দেগী অর্থাৎ শবে বরাতের সংশ্লিষ্ট বিষয়কে উত্তমভাবে পালনের সুযোগ করে দেয়া।
বড় আফসুস ও পরিতাপের বিষয়, আমাদের দেশে শতকরা ৯৫ ভাগের বেশি মুসলমান। মুসলমানদের ইবাদতের মূল বুনিয়াদ হচ্ছে নামায। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার সাথে সাক্ষাৎ মুবারক করে শবে মি’রাজে নামায নিয়ে আসলেন। অথচ সেই শবে মি’রাজ শরীফ সরকারিভাবে কোন ছুটির ঘোষণা দেয়া হয়নি। পক্ষান্তরে বিধর্মী, নাছারা, হিন্দু, বৌদ্ধ কাফির মুশরিক শতকরা ৫ ভাগেরও কম তারপরেও এদের বড়দিন, নববর্ষ, পুজা-পার্বণ ইত্যাদি পালনের জন্য সরকারি ছুটি ঘোষণা করে সেগুলোর গুরুত্ব মুসলমানদের কাছে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালানো হয় ও হচ্ছে। যা অস্বীকার করার কোনই যুক্তি নেই। অথচ ৯৫ ভাগের বেশি মুসলমানের উপর অর্পিত আল্লাহ পাক প্রদত্ত ও উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদত্ত নির্দেশ মুবারকের ব্যাপারে তারা একেবারেই বেখবর।
কাজেই প্রত্যেক মুসলমান সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- তারা যেন শবে বরাত উপলক্ষে কমপক্ষে তিন দিন ছুটি ঘোষণা করে সরকারিভাবে সারাদেশে শবে বরাত পালন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
Home
শবে বরাত শরীফ
শবে বরাত মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ নিয়ামত ॥ যা উত্তমভাবে পালনের জন্য কমপক্ষে ৩ দিন ছুটি ঘোষণা করা মুসলিম সরকারের অবশ্য দায়িত্ব ও কর্তব্য - ২