যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, জামাতে মওদুদীর মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় পবিত্র শবে বরাত তথা ‘লাইলাতুল মুবারাকা।’ ‘লাইলাতু নিছফি মিন শাবান’ সম্পর্কে বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডীন পরিচয়ধারী এক ব্যক্তি দ্বারা ‘লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত কি ও কেন?’ শীর্ষক প্রবন্ধে পবিত্র শবে বরাত-এর বরকতময় ক্ষমা রহমতের প্রসঙ্গে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করে বলেছে- “বাহ কি চমৎকার রাত্রি! এমন একটি রাত্রি রাত্রিই বটে। এক রাতের এবাদতের বিনিময়ে সকল প্রতারক সাধু হয়ে গেলেন। দরকার কি দুদকের, ট্রুথ কমিশনের, র্যাব আর পুলিশের?” নাঊযুবিল্লাহ!
সে আল্লাহ পাক উনার কুদরত দয়া ক্ষমা রহমের সাথে দুনিয়াবী ঘুষখোর, ফাঁকিবাজ প্রশাসনের তুলনা দিয়েছে। নাঊযুবিল্লাহ! ধর্মদ্রোহী ডীনের এমন গুমরাহী কথাবার্তা যদি ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রকাশ্যে শুনতো আর তাকে চিনতে পারতো তবে অবশ্যই তাকে জুতাপেটা করে শায়েস্তা করে ছাড়তো। কারণ সে মুসলমান নামধারী শয়তানের চেলা কাট্টা কাফির মুরতাদদের অন্তর্ভুক্ত।
ধর্মদ্রোহী ডীন আরো বলেছে, “আমরা মনে করি যেহেতু রাসূলের যুগে এ জাতীয় মওসুমী এবাদতের কোনই অস্তিত্ব ছিলো না- বর্তমানে এর অস্তিত্ব প্রমাণ করে এটি একটি বেদয়াত অর্থাৎ এবাদতের ক্ষেত্রে একটা নতুনত্বের সংযোজন।” নাঊযুবিল্লাহ!
পবিত্র শবে বরাত-এর রাত্রির ইবাদত-বন্দেগীর অস্তিত্ব যে ইসলামের শুরু থেকেই ছিল তা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। কারণ উক্ত ধর্মদ্রোহী ডীনও সেই হাদীছ শরীফগুলো সম্পর্কে অবহিত। তবে আবু জাহিলের মত সে অবিশ্বাসী, দাম্ভিক, অহঙ্কারী।
সে যে বলেছে, ‘আমরা মনে করি’ এই আমরা কারা? এই আমরা হলো, তার গুরু ইবলিস শয়তান, আবু জাহিল, আবু লাহাব, উতবা-শায়বা, মুগীরা, ইবনে তাইমিয়া, ইবনে ওহাব নজদী, সউদী বা’য, মওদুদী জামাত, খারিজী, দেওবন্দী, তাবলিগী, দাজ্জালের চেলা এবং সর্বোপরি ইহুদী-মুশরিক, নাছারা। কারণ এরা ইসলামের কোন আচার ঐতিহ্যকে কখনোই স্বীকার করে না। মুসলমানদেরকে রহমতে খাছ পাওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে। মূলত এদের পবিত্র শবে বরাত বিরোধী কথার কোন অস্তিত্ব যেহেতু ইসলামের কোথাও নেই তাই তাদের কথা-ই হলো বিদয়াত, মাওজু এবং পরিত্যাজ্য। এ কারণেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা এদের কুফরী কথায় আদৌ কর্ণপাত করে না।
কারণ হাদীছ শরীফ-এ স্বয়ং হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পূর্বেই সতর্ক করে ইরশাদ করেছেন, “আখিরী যামানায় এমন কিছু মিথ্যাবাদী দাজ্জালে কাযযাব বের হবে, যারা এমন সব নিত্য নতুন কথা বলবে যা তোমরা তো শুনোনি, তোমাদের বাপ-দাদা, চৌদ্দ পুরুষও শুনেনি।”
সত্যিই পবিত্র শবে বরাত সম্পর্কে জামাতে মওদুদী মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় ধর্মদ্রোহী ডীন যা বলেছে তা বর্তমান যুগের মুসলমানরা যেমন ইতঃপূর্বে শুনেনি তদ্রূপ প্রায় ১৪ শত বছর যাবৎ কোন মুসলমান কখনোই শুনেনি বলেই ইসলামের ইতিহাস সাক্ষ্য প্রদান করে। তাহলে বর্তমান যুগে হঠাৎ করে কেনইবা জামাতে মওদুদী মুখপত্র এবং তার সমগোত্রীয়রা মুসলমানদের পবিত্র শবে বরাত উদযাপন নিয়ে এত গাত্রদাহ শুরু করলো সেটাই ধর্মপ্রাণ ঈমানদার মুসলমানদের জিজ্ঞাসা।
Home
শবে বরাত শরীফ
পবিত্র শবে বরাত সম্পর্কে তথাকথিত জাতীয় পত্রিকার কুফরীমূলক বক্তব্যের ঈমানী জবাব। একমাত্র কাফির মুরতাদ শ্রেণীর লোকেরাই পবিত্র শবে বরাতের বিরোধিতা করে (৪)